top of page
  • কাঞ্চন রায়

হিংসুটে




এই পর্বে এসে আমি জানলাম—

বিগত দুই বছর আকাশে পাখিরা উড়ছে।

চড়ুইয়েরা রোজ আসর বসিয়েছে

হাটবাজার, শপিংমল, যত্রতত্র।

কুকুরগুলো নির্দ্বিধায় তুলে নিয়েছে

ফুটপাতে পড়ে থাকা পচা, জীবাণুবাহিত খাবার।

দু'একটা 'মানবতার লাশ' গঙ্গায় ভেসে এলে—

মাছেরা ঠোকর মেরেছে,

মৃতের রোগ-ঠিকুজি না জেনেই।

বাড়ির চারপাশে ঘুরে ঘুরে আবহমান কাক,

এলোপাতাড়ি ছোঁ মেরে নিয়ে গেছে 'ওষুধের শিশি',

চোদ্দদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা যদুবাবুর জানলায়...


অথচ সরকারপক্ষ কঠোরভাবে

লকডাউন এর সময়সীমা বাড়িয়েছে, নিয়ম করেই!

মাস্ক পরাও তো জরুরী ছিল!


আমি ওদের বিধি-নিষেধের পাঠ পড়াতেই—

সবচেয়ে রোগা বুনো টিয়াটি

আমায় ভেংচি কেটে দিয়ে চেলে গেল।


এদিকে সমাজিক দূরত্ব মানতে মানতে

আমাদের জীবন এখন— " চার দেওয়াল ই চৌহদ্দি"!


আমিও কম যাই না;

থানার বড়বাবুকে, এই সব নিয়ম ভাঙার কথা

লিখিত আকারে জানিয়ে এসেছি।

এখন দেখব, হতচ্ছাড়াদের কি হয়—

ওরা বোধ হয় ভুলে গেছে,

বিগত দুই হাজার বছর ধরে

আমরা, এই মানুষেরাই—

আকাশ, বাতাস, মাটির শাসনযন্ত্রের

একছত্র লিজ নিয়ে বসে আছি...

নীড়বাসনা  বৈশাখ ১৪২৯
bottom of page