কবিতা - সীমন্তিনীর সুর
- দেবযানী গাঙ্গুলী
- Dec 5, 2020
- 1 min read
আমার এই কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "বাঁশি" কবিতার 'কিনু গোয়ালার গলি'র হরিপদ কেরানির হৃদয়ভাবনাকে বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেখে লেখা। করোনা অতিমারীর প্রভাবে লকডাউনের ফলে দেশজুড়ে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কেউবা পূর্ণবেতনের সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দীর্ঘদিন। কারো বিয়ে ভেঙে গেছে কিন্তু ঘরে না এলেও মনে নিত্য আসা যাওয়া সেই প্রিয়জনের।
সিন্ধু-বারোয়াঁ ছুঁয়েছে বিধুর সুর
আধপোড়া মন,স্যাঁতা পড়া অভিমান।
সীমন্তিনীর পরনে ঢাকাই শাড়ি,
লগ্নভ্রষ্টা। সে স্মৃতি বহ্নিমান।
যৌবন কাটে দূরত্ব দুর্গম,
রাত খোঁজে চাঁদ শুক্লা অষ্টমীর,
কাঁচি-কাটা মাসমাইনের খাতা ভাঁজে
দেনা জমে ওঠে কনিষ্ঠ কেরানির।
পচা এঁটো জমে, আঁশটে গলির কোণে
যাপন ঘিরেছে জমাট দুর্বিপাক,
ক্ষয়াটে জীবন। কালঘাম ক্লান্তিতে
এম দুশো দুই ডাউন ট্রেনের ডাক।
অভাবের ফেরে শিরদাঁড়া চৌচির,
ঘেঁষাঘেঁষি ঘর। উঠোন এবং ছাদ,
প্রাত্যহিকের দাবী সব অনাদায়ী ,
অতিমারী। মেঘে মুখ ঢাকে অবসাদ।
অন্ধ পাতালে গর্ভগৃহের খোঁজে
ছেঁড়া কাঁথা ঢাকা স্বপ্নেরা ভঙ্গুর।
নোনা ধরা মেঝে। ফেরারী বাঁশির ধুনে
মন খোঁজে সেই সিন্ধু-বারোয়াঁ সুর।

Commentaires