top of page

অলৌকিক স্পর্শ

  • অভিষেক চৌধুরী
  • Oct 1, 2021
  • 6 min read



জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে যাদের যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায়না: অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের লোকমুখে ভৌতিক ব্যাপার বলে প্রচলিত করা হয়, এবং আমরা নিজেরাও কদাচিৎ তেমন কোনো ঘটনার সম্মুখীন হলে অনেক ক্ষেত্রেই দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে তাকে ভৌতিক আখ্যায় আখ্যায়িত করি। এরকমই এক ঘটনার সম্মুখীন হই নভেম্বর ২০০৮-এ।


পুণে শহরের সীমানা ছাড়িয়ে আমার কলেজ তীর্থক্ষেত্র আলন্দীর কাছে। মনোরম গাঁয়ের পরিবেশ। আখ ও ভুট্টার ক্ষেতের মাঝে মাঝে দুটো একটা কুঁড়েঘর ও তার পাশে খাটালে স্তুপীকৃত খড় ও ঘুটে। সুদূর দেহুগাঁওয়ের মন্দির থেকে অভঙ্গগীতির প্রতিধ্বনি ভেসে আসে বিকেলে ভোরে। পাশেই ইন্দ্রায়ণী নদীতটে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মহাত্মা সন্ত ধ্যানেশ্বরের সমাধিমন্দির ও তৎসংলগ্ন ক্ষুদ্র জনপদ। নেই কোনো কোলাহল, সন্ধ্যায় আরতীঘণ্টার ধ্বনি মনের সমস্ত নিরাশা যেন মুহূর্তের জন্য ভুলিয়ে দেয়। নদীর ধার ধরে কিছুদূর গেলেই শ্মশান। এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিক পরিবেশ। এ হেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রূপ বদল করে নেয় প্রতিবছর নভেম্বরে আলন্দীযাত্রার সময় যখন বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্ট থেকে দলে দলে পুণ্যার্থী অর্ঘ্য ও নৈবেদ্য ভরে পায়ে হেঁটে আলন্দী আসেন। আলন্দী রোডে সেই সময় যানবাহন চলা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। আলন্দীজুড়ে আলোর রোশনাই আর মাইকে সারারাত ধরে ভজন-প্রবচন। এমনি এক সময়ের ঘটনা।


নাশিক হাইওয়ে যেখানে বোম্বে-পুণা হাইওয়েতে মেশে সেই জায়গার নাম নাশিকফাটা। যখনকার কথা বলছি তখনও নাশিকফাটাতে মাল্টিলেভেল উড়ালপুল হয়নি। লোকশ্রুতি অনুসারে এই জায়গাটা শুধুমাত্র বিপজ্জনক নয় কিছুটা ভৌতিকও বটে। বহু বাইকযাত্রীর অভিযোগ যে এই ক্রসিংয়ে প্রচুর নুড়ি পড়ে থাকে তাই খানিক অন্যমনস্ক হলেই নাকি বাইকবাবাজী স্কিড করেন। কিন্তু সবটাই কি নুড়িদের দোষ! অনেকে বলে একটা অজানা শক্তি নাকি ওই সদা-জ্যামবেষ্টিত তেমাথার মোড়ে ঘুরতে থাকে আর অমনোযোগী বাইকারদের নিশানা করে। ব্যাপারটা প্রথমবার শুনে বেশ কৌতূহল হয়েছিল। তারপর বাসস্থান পরিবর্তনের ফলে প্রায় দেড় বছর নিত্য কলেজ যাওয়ার পথ ওই নাশিকফাটার ওপর দিয়েই মঞ্জুর করতে হল। প্রতিদিন সতর্ক হয়ে গেছি, কখনও কোনো অজানা শক্তি অনুভব করিনি। শেষে অবশ্য একদিন লোকশ্রুতি মানতে বাধ্য হলাম।


তখন ফাইনাল ইয়ারের মাঝামাঝি। হোস্টেলে বন্ধুদের রুমে বসে গ্রুপ-স্টাডি করতে আর নোট্‌স্‌ নিতে কখন যে রাত সাড়ে ১০টা বেজে গেছে খেয়াল নেই। এদিকে বাড়ী ফিরতে হবে ১৮ কিমি বাইকে অতিক্রম করে, মা-বাবা অপেক্ষা করছে। পরেরদিন আবার ল্যাব আছে, মিস করা যাবেনা। কিন্তু বড় রাস্তা দিয়ে ফেরা যাবেনা কারণ আলন্দীযাত্রার জন্য বিশাল ট্র্যাফিক হয়ে আছে, বাইকে মোটামুটি দেড় ঘন্টার বেশী লাগবে, যা এমনিতে ৩৫ মিনিটের বেশী লাগেনা। তাই বিবেচনা করে রওনা হলাম এক অল্টারনেটিভ রাস্তা ধরে। এটা একটু ঘুরপথ, মেঠো রাস্তা কিন্তু এই ট্রাফিকের অবস্থায় এটাই উচিৎ বিকল্প বলে মনে হল। এই রাস্তা দিয়ে আমি আগেও এসেছি মাঝেসাঝে। এটা আলন্দীকে নাশিক হাইওয়ের সাথে কানেক্ট করে। এই ৫কিমি অংশটুকু গ্রামপঞ্চায়েতের অধিকারে তাই কোনো মহানগরপালিকাই এর রক্ষনাবেক্ষনের দায় নেয়নি। কিছু কিছু স্থানে গর্ত ও ফাটল ও দেখা গেছে তবু খুব কম যানবাহন চলাচলের দরুন কোনো সংস্থাই এর প্রতি যত্নশীল নয়। তবে রাস্তাটা প্রাকৃতিক বৈচিত্রে পরিপূর্ণ। ক্ষেত, জঙ্গল, টিলাপাহাড় আবার পাশ দিয়ে বয়ে চলা ইন্দ্রায়ণী নদী। এবং রাস্তাটি আক্ষরিক অর্থে এভিন্যু: দুধারে সারি সারি বড় গাছ এবং পুরো ৫কিমি স্ট্রেচটার অধিকাংশ জনশূন্য ছিল তখন, হাতেগুনে বোধ হয় ৪টে দোকান। একবার নাশিক হাইওয়ে পৌঁছে গেলে মোশী থেকে আবার লোকালয় শুরু।


তাই রওনা হলাম ওই রাস্তা ধরে। যেহেতু আগে দিনের বেলা এসেছি ওই রাস্তায় তাই কিছু জিনিস অজানা ছিল। যেমন, ওই রাস্তাটার একটা বড় স্ট্রেচ অন্ধকার, অর্থাৎ রাস্তায় কোনো আলো নেই। যাইহোক, যাচ্ছি আনমনে। অনেক পর পর একটা করে গাড়ী আসছে অপর দিক থেকে। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম আমার হেলমেটে যেন কিসের বাড়ি লাগছে। প্রথমে ভাবলাম রাস্তার দুধারের গাছের ঝুরি এসে লাগছে মাথায়। কিন্তু আমি তো দিনের বেলাতেও এসেছি আগে, তখন তো লাগেনি। তাহলে কি রাতের পাখী বা বাদুড়? নাতো, তারা এতো নীচে দিয়ে তো উড়বেনা। ভ্রুক্ষেপ না করে এগিয়ে যাচ্ছি। আচমকা একটা অদ্ভুত জিনিস নজরে পড়ল। রাস্তাটা যদিও প্লেন, কোনো চড়াই-উৎরাই নেই, তবুও বাইকের স্পীড দেখছি কেন জানিনা ক্রমেই কমে আসছে: ষাট থেকে পঞ্চাশ তারপর চল্লিশ। আমার একটু সন্দেহ হল, এটা কেন হচ্ছে? চারিদিকটা একবার চেয়ে দেখলাম, ঘন জঙ্গলের মাঝ দিয়ে একা যাচ্ছি, অন্ধকার রাস্তা, কোনো কারণে বাইকের লাইট নিভে গেলে এই কালো আল্‌কাৎরা-মাখা নির্জনতায় আমি একলা। একটা অজানা আতঙ্ক আমাকে হাল্কা করে হুল ফোটাল: কে জানে এই রাস্তায় চুরি-ছিনতাই হয় কিনা! হলেও আমি নিঃসহায়। মারাঠী ট্রাফিক পুলিসের সামনে মুখ দিয়ে কথা ফোটেনা তো মারাঠী চোরের সামনে কী আর করে নিতে পারব? ট্র্যাফিক অ্যাভয়েড করতে গিয়ে এই জনবিহীন রাস্তা ধরে এসে অকারণে বিপত্তিতে পড়তে হবে নাকি শেষকালে? আর অনেকক্ষণ থেকে অপরদিক থেকে কোনো গাড়ীর দেখা নেই, আমার সামনে পিছনেও নেই, আনুমানিক আমার আগেপিছে দুই-আড়াই কিমি জুড়ে আমি একাই। তাছাড়া স্পীডই বা কমবে কেন? সবে দুবছর হয়েছে বাইকটা চালাচ্ছি। এর মধ্যেই কি ক্লাচপ্লেট খারাপ হয়ে গেল? নাকি এ সমস্তটাই আমার মনগড়া ইল্যুশন?


আর ওদিকে হেলমেটে বাড়ি লাগাটা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এবার তো বেশ বিরক্তি লাগছে। রাস্তাটাও শেষ হচ্ছেনা। অল্প শীতও করছে, ১১টা বেজে গেছে, খিদেও পেয়েছে। রাস্তার ধারে গাছের ডালপালাগুলোতে হেডলাইটের আলো পড়ছে আর হাওয়াতে তাদের দুলুনি দেখে মনে হচ্ছে তারা যেন হাতছানি দিয়ে আমাকে ডাকছে। তারাই যেন আমার বাইকটাকে চেপে ধরতে চাইছে, কারণ অ্যাক্সিলারেটার যতই ঘোরাচ্ছি আমার বাইক কিন্তু তিরিশ – চল্লিশের বেশী উঠছেনা। হঠাৎ ওপরে তাকিয়ে দেখি সাদা ছায়া মতো কী একটা যেন ওপরের দিকে উঠে গেল। আমি ভ্রুক্ষেপ করলাম না কারণ রাত্রে ট্র্যাভেলের সময় আমার চশমা আর হেলমেটের কাচ মিলিয়ে অনেকরকম রিফ্লেকশান হয়, সেরকমই কিছু হবে হয়তো। কিন্তু ছায়াটা দেখতে গিয়ে হাল্কা শুনতে পেলাম সত্যিই তো একটা বিটকেল আওয়াজ হচ্ছে: পুরানো দরজার কব্জায় জং পড়লে যেরকম হয় সেরকম থেকে থেকে হচ্ছে। আর চারিদিকটা এমনি নিস্তব্ধ যে সেটা একটু খেয়াল করলেই শোনা যাচ্ছে। এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ সামনে আলো দেখা গেল। বুঝলাম ওই লম্বা অন্ধকার-স্ট্রেচটা শেষ। আরেকটু এগোলেই লোকালয় শুরু। দেখলাম কিভাবে বাইকের স্পীডও বেড়ে ষাট হয়ে গেল। আমি চমকে উঠলাম: এ কী করে হল? ভগবানের নাম করলাম। ইস! এতক্ষণ একবারও ভগবানের নাম নেইনি কেন, একবারও মাথাতেই আসেনি!


কোনো ভাবে পরের ১১কিমি আলোকিত হাইওয়েতে দ্রুতবেগে অতিবাহিত করে নাশিকফাটায় পৌঁছে টার্ণ নিতে যাব, অমনি বলা নেই কওয়া নেই ধপাস করে বাইকসমেত মাঝরাস্তায়! আমি সাধারণত বাইকের কন্ট্রোল হারাইনা কিন্তু এ কী হল! আমি তো এখন পরিচিত রাস্তায় রয়েছি যেখানকার এক-একটা বাম্পার আমার চেনা, অথচ আজ পড়ে গেলাম কী করে? এদিকে অনেক রাত হয়ে গেছে তাই লোকজন নেই বললেই চলে। কোনোমতে বাইকটা তুলে সবে টানতে টানতে ধারের দিকে নিয়ে আসছি অমনি দেখি দূর থেকে প্রচণ্ড জোরে একটা লরি আমার দিকে ধেয়ে আসছে। আচমকা মাটিতে পড়ার দরুন হাতে পায়ে হাল্কা ছরে গেছে কিন্তু আর কোনো অস্বস্তি বোধ করছিনা, তবুও যেন হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে ওই রাস্তার মাঝেই অবশ হয়ে স্থির দাঁড়িয়ে রইলাম। একটা ঘোরের কারণে আমি যেন এই স্পেসটাইমে ফ্রীস হয়ে গেছি, সব বুঝতে পারছি অথচ নড়াচড়া করতে পারছিনা। এদিকে লরিটা ক্রমে এগিয়ে আসছে, আজ বুঝি মৃত্যু অবধারিত কিম্বা কোনো মারাত্মক দুর্ঘটনা নিশ্চিত। নিমেষের মধ্যে অনেক কথা মনে পড়ে গেল, ছেলেবেলার কথা, মায়ের কথা, সব দেখতে পারছি কিন্তু নড়তে পারছিনা। হঠাৎ খেয়াল হলো, তাইতো এটা তো আজকের একমাত্র দুর্ঘটনা নয়, খানিকক্ষণ আগেই হেলমেটে কিসের যেন বাড়ি লাগছিল! যেই ভাবা অমনি যেন শরীরে আশ্চর্য এক জোর পেলাম আর দ্রুত রাস্তার ধারে চলে এলাম আর সাথে সাথে লরিটা একরাশ ধূলো উড়িয়ে কংক্রিট কাঁপিয়ে দাপট দেখিয়ে চলে গেল।


ঘরে ফিরে রাত্রে এলো জ্বর। কোনো কারণ নেই! না খেয়েছি আইস্‌ক্রিম, না ভিজেছি বৃষ্টিতে (নভেম্বরে বৃষ্টির বা হীটস্ট্রোকের কোনোটারই সম্ভাবনা নেই), কলেজে কেউ পাশে বসে হাঁচিও দেয়নি। তাহলে কেন? সেই জ্বর চলল টানা এক সপ্তাহ। ল্যাবগুলো আর কটা জরুরি লেকচার অযথা কামাই হল। ডাক্তার দেখাতে বাধ্য হলাম, উনি বললেন ১০৫ জ্বরে ইঞ্জেক্‌শন না দিলে জ্বর নামবেনা। যাইহোক, সুস্থ হয়ে ৭দিন পর যখন কলেজ যাচ্ছি তখন নাশিকফাটা পার করবার সময় আমি পরিষ্কার লক্ষ্য করলাম বাইকটা যেন একটু ডিসব্যালেন্স হয়ে যাচ্ছিল। আমি কোনোমতে সামলে নিয়ে তেমাথার মোড়টা পার করে এসে পিছন ফিরে দেখি আমার পাশ দিয়ে আসা একজন বাইকযাত্রী ক্রসিংটা পার হতে গিয়ে পড়ে গেছে, আর তার সাহায্যের জন্য বহু লোকের সমাগম। ভয়ে সেদিকে না তাকিয়ে আমি হোস্টেলে পৌঁছে সেদিনের বিভীষিকার কথা জানালাম তিন-চারজনকে, বিশেষ করে ওই হেলমেটে বাড়ি লাগার ব্যাপারটা। অবাক হয়ে শুনলো তারা, কেউ কেউ একটু খিল্লি করে চলে গেল। তবে অংশুল বেশ দাঁত কটমট করে আমাকে বলল, “অত রাত্রে ওই রাস্তা নিয়েছিলি কেন? জানিসনা ওটা হন্টেড?” শুনে আমি বিশ্বাস করতে পারলামনা, বললাম “আমি তো তেমন কিছু দেখিনি, শুধু স্পীড কমে আসছিল আর বাড়ি লাগছিল হেলমেটে”। তখন ও বলল, “আর? আর সাদা শাড়ী পরা প্রেত দেখিসনি যে এ-গাছ থেকে ও-গাছে আসছিল তোর পিছুপিছু? তোর গাড়ী চালাতে এতো মনোযোগ যে আসেপাশের কিছুই তোর চোখে পড়েনা? তুমহালা দিমাগ খরাব ঝালী কায় দাদা?” প্রথমটা শুনে মনে হল এটা সার্কাস্‌ম্‌ ছিল, কিন্তু ও ব্যঙ্গ করার পাব্লিক নয়, সেটা ভেবেই বোধ হয় কপালে ঘাম দেখা দিল বিন্দু বিন্দু।


তখন ও বলতে শুরু করলো: “আমি আর স্বপ্নিল একবার নাশিক হাইওয়ের এক ঢাবা থেকে বিরিয়ানী প্যাক করিয়ে নিয়ে রাত দেড়টার সময় বাইকে ফিরছিলাম হোস্টেল। আমি বসেছিলাম ওর পিছনে। জানিস, যেই অন্ধকার স্ট্রেচটা শুরু হল অমনি লক্ষ্য করলাম সাদা শাড়ী পরা একটা ছায়াশরীর গাছের ওপর থেকে নিমেষের মধ্যে নেমে আসছে আবার উঠে যাচ্ছে যার ফলে আমাদের দুজনের হেলমেটে বাড়ি লাগছে। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে এল, আমি তক্ষুনি ওকে বললাম, ভাই, বাইকটা নব্বইতে ভাগা আর ওপরে একদম তাকাবিনা; কিন্তু লে হালুয়া, স্পীড দেখছি কমে আসছে। সেটা দেখেই আমাদের তো হয়ে গেছে! কিছু না বুঝে আমরা বিড়বিড় করে ঠাকুরের নাম করছি আর কাঁপছি। ভাবতে পারিনি সিনেমায় যা দেখায় তার পুরোটা কাল্পনিক নয়। এই প্রেত কি আমাদের অ্যাটাক করবে? কোনো ক্রমে হোস্টেল ফিরেই আমাদের শরীর খারাপ হল, আমার তো পক্স হয়ে গেল সেবার। যাইহোক, পরে একদিন বাইরের চায়ের দোকানের মহেশকে বললাম সব ব্যাপার, ও বলল বহুদিন আগে এক প্রৌঢ় মহিলার অ্যাক্সিডেণ্ট হয় ওই রাস্তায়, তারপর থেকে অন্ধকার রাতে কোনো পথচারী দেখলেই সাহায্যের আশায় তাকে থামানোর চেষ্টা করে সে”।

Comments


নীড়বাসনা  বৈশাখ ১৪২৯
bottom of page