অনুবাদ কবিতা সিরিজ
- অনিন্দ্যসুন্দর পাল
- Aug 25, 2021
- 2 min read
Christian Johann Heinrich (১৩ই ডিসেম্বর ১৭৯৭- ১৭ ই ফ্রেব্রুয়ারী, ১৮৫৬) উনিশ শতকের একজন উল্লেখযোগ্য কবি। তিনি একাধারে সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক। জার্মানির বাইরে তিনি তাঁর গীতিকবিতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। আর এই গীতিকাব্যগুলোই গান আকারে প্রকাশ পায় রবার্ট শুম্যান ও ফ্রাঞ্জ শ্যুবার্টের সহযোগিতায়। যদিও পরবর্তীতে রাজনৈতিক কারণে তাঁর বহু লেখা বা গান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে তিনি তাঁর জীবনের দীর্ঘ পঁচিশ বছর কাটিয়ে ছিলেন প্যারিসেই। তাঁর সমগ্র জীবনের সৃষ্ট কিছু বাছাই কবিতা নিয়ে ধারাবাহিক হিসাবে অনুবাদ রাখব বলে মনস্থির করেছি। এই পর্বে নিম্ন লিখিত কবিতাগুলির অনুবাদ রাখার চেষ্টা রাখলাম।
(মূল কবিতা – জার্মান) Ad Finem
সমাপ্তিতে
এমন এক বছরে তারা আসে আর যায়
দৌড় থামে হয়ত কবরের গভীরে,
তবুও, যে ভালোবাসা আমার হৃদয়ে আছে
তার তো কোনো শেষ নেই।
আমার সাথে তোমার, হয়ত
দেখা হত একদিন,কিন্তু একদাই
তুমিও ডুবে যাও আমার হাঁটুর উপর,
এবং আমিও বলে উঠি-
"প্রিয়, আমি ভালোবাসি, শুধু তোমাকেই।"
দেখি, তুমিও মারা যাও, নিজেই নিজের চোখে।।
Der Tod, Das Ist
আমাদের মৃত্য
আমাদের মৃত্যু ওই রাতের শীতলতায়
জীবন বলতে আমাদের আলোর পুষ্করিণী
যেখানে জ্বলন্ত আঁধারে, আমি ডুবে যাচ্ছি
যেন ক্লান্ত হয়ে পড়ছি দিনের আলোয়।
পল্লবে পল্লবে ভরে যাচ্ছে গুরুমস্তিষ্ক
যেন গান গাইছে পাপিয়া
এ শুধুই প্রেমের গান, ওরা গায়
আমি শুধু শুনতে পাই, আমায় ঘুমের ভিতরে।।
Du Bist Wie Eine Blume
তুমি, একটা মিষ্টি ফুলের মতো
তুমি একটা ফুলের মতো
ভীষণ মিষ্টি সুন্দর এবং শুভ্র;
আমি তাকিয়ে থাকি তোমার দিকে
আর বেদনা জমা হয় আমার ভিতরে।
আমি ভাবি, যদি এমন হয়
আমি শুয়ে আছি, আমার হাত তোমার মাথায়
তুমি আরো শুভ্র, সুন্দর ও মিষ্টি থাকো
এমন প্রার্থনা করছি যেন ভগবানের কাছে।
Mein Liebchen, Ein sassen beisammen
আমার মাধুরী, আমরা বসেছিলাম দু'জন
আমার মাধুরী, আমরা বসেছিলাম দুজনে,
ভালোবেসে ভেসে ছিলাম নৌকায়।
রাত্রি তখনও ছিল, এগিয়ে চলেছিলাম
জলপথের আল বরাবর।
সে এক সুন্দর নিস্তব্ধ দ্বীপ যেন নিঃশব্দে শুয়ে ছিল চাঁদের আলোয়। একটা মধুর ধ্বনির তালে তালে নেচে বেড়াচ্ছিল যেন অদ্ভুত অন্ধকার কুয়াশা। শব্দগুলো দ্রুতই মধুর থেকে আরো মধুর হয়ে উঠছিল, কুয়াশাও আরো , আরো আরো কাঁপছিল, এইভাবে, একইপথে। আমরাও আস্তে আস্তে, অতীত থেকে প্রশস্ত সমুদ্রে, জনশূন্যে যাইহোক, হয়ত এইভাবেই সরে যাচ্ছিলাম।
Comments