top of page

প্রবন্ধ - দ্বিশতবর্ষের আলোয় বিদ্যাসাগর

  • শম্পা রায়
  • Jul 8, 2020
  • 5 min read

Updated: Feb 19, 2021





মানবকেন্দ্রিক কোনো আলোচনাতে ‘ রিলিজিয়ন অথবা হিউম্যানিজম’, না কি ‘রিলিজিয়ন এবং হিউম্যানিজম’–এর যে চর্চা প্রাসঙ্গিকভাবেই উঠে আসে , তার সূচনা সতেরো - আঠেরো শতকে। আর ঊনবিংশ শতাব্দীতে রামমোহন – বিদ্যাসাগরের জীবনচর্যা ও কর্মপন্থা ঘিরে এর স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ। বিশেষত, বিদ্যাসাগর (ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় )। সনাতনী ধ্যান-ধারণা,ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামি, মানববিমুখ রীতি-প্রথার আগড় ভেঙে ঈশ্বরতুল্য ভূমিকা নিয়ে তাঁর আবির্ভাব উনিশ শতকের বঙ্গদেশকে পুণ্যভূমিতে পরিণত করেছিল। বাঙলার ইতিহাসে রামমোহনের পরে তিনিই বোধহয় প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র ‘ হিউম্যানিস্ট ‘ সমাজসংস্কারক।


ঈশ্বরচন্দ্রের কৃতকর্ম বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় , ধর্মভীরুতা নয় ; বরং তাঁর জীবনদর্শনের মূল ভিত্তিই ছিল ’হিউম্যানিজম’। শব্দটিকে ‘মানবিকতা’ বা ‘মানবতা’ বলে সাধারণভাবে ব্যাখ্যা করা হলেও প্রকৃতার্থে ‘ হিউম্যানিজম’ হচ্ছে মানবমুখিতা। সমাজপ্রগতিশীল ধ্যান-ধারণা, মানবমুখী চিন্তা-চেতনা হিউম্যানিস্ট হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্রকে যেভাবে মহিমান্বিত করেছে , তাতে তাঁর ধর্মবিরূপ জীবনদর্শনের প্রগাঢ় ভূমিকার সোচ্চার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। তাঁর ধর্মচিন্তা বিষয়ে বিনয় ঘোষ শিবনাথ শাস্ত্রীর উদ্ধৃতিতে লিখেছেন -


“বিদ্যাসাগর জিজ্ঞাসা করলেন, “ ওহে হারাণ, তুমি তো কাশীবাস করছ , কিন্তু গাঁজা খেতে শিখেছ তো? “ উত্তরে শিবনাথ শাস্ত্রীর বাবা বললেন,” কাশীবাস করার সঙ্গে গাঁজা খাওয়ার কি সম্বন্ধ আছে ?” বিদ্যাসাগর বললেন , ‘’ তুমি তো জান, সাধারণ লোকের বিশ্বাস যে কাশীতে মরলে শিব হয়। কিন্তু শিব হচ্ছেন ভয়ানক গাঁজাখোর। সুতরাং আগে থেকে গাঁজা খাওয়ার অভ্যাসটা করে রাখা উচিত নয় কি? তা না হলে যখন প্রথম গাঁজা খাবে তখন তো মুস্কিলে পড়তে পার।‘’১


এই ঘটনাকে আপাতভাবে বিদ্যাসাগরীয় কৌতুক বলে মনে হলেও বাস্তবে যে তা নয় সে প্রমাণ রয়েছে রামকৃষ্ণদেব – ঈশ্বরচন্দ্রের কথোপকথনে। একবার বিদ্যাসাগরের কাছে পরমহংসদেব গেলেন তাঁকে ধার্মিক করার বাসনা নিয়ে।দীর্ঘসময় ধরে তিনি পরকাল আর মোক্ষলাভের অনেক কথা বললেন ; কিন্তু সুবিধা করতে না পেরে তাঁকে খালি হাতেই ফিরে যেতে হল। তাই পরে ঈশ্বরচন্দ্র সম্পর্কে রামকৃষ্ণ বলেছিলেন , ”এমনকি তাঁর নিজের মোক্ষলাভের জন্য ভগবানের নাম করারও তাঁর কোন স্পৃহা নেই , সেইটাই বোধহয় তাঁর সবচেয়ে বড় ত্যাগ।অন্য লোকের উপকার করতে গিয়ে তিনি নিজের আত্মার উপকার করার প্রয়োজন অগ্রাহ্য করেছেন।‘’ ২


বস্তুত ধর্ম নিয়ে মাতামাতি বিদ্যাসাগর কখনোই পছন্দ করেন নি।সংস্কৃতজ্ঞ পন্ডিত হওয়ার সুবাদে বিধবাদের পুনর্বিবাহের স্বপক্ষে শুধু একবারই তিনি সযৌক্তিক শাস্ত্রবিশ্লেষণ শুরু করেছিলেন। কেননা তাঁর জানা ছিল, ধর্ম – গোঁড়ার সমাজে তাঁকে শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা দিয়েই বিধবাবিবাহের যাথার্থ্য প্রমাণ করতে হবে। অন্য সমস্ত ক্ষেত্রে , প্রথাগত ধর্মে নিতান্ত অবিশ্বাসী এই মানুষটি নিজের যুক্তি-বুদ্ধি তথা মন ও মননের ওপরেই আস্থা রেখেছিলেন আজীবন। তাঁর এই ধর্ম-উদাসীনতার মূলে ছিল রামকৃষ্ণ কথিত ‘ অন্য লোকের উপকার ‘, ‘ অর্থাৎ হিউম্যানিজম ’। জানা যায় , বিদ্যাসাগরের জন্মকালে তাঁর পিতামহ বলেছিলেন , ‘ এঁড়েবাছুর জন্মেছে।‘ কথাটা কিন্তু ঠাট্টা নয়; কারণ বিদ্যাসাগরের জাজ্বল্যমান ব্যক্তিত্ব , অতুলনীয় কর্মনিষ্ঠা, অদৃষ্টপূর্ব মানবমুখিতা --- এসব কিছুর মূলেই ছিল তাঁর সুদৃঢ় প্রত্যয়। প্রচন্ড সংকল্পবদ্ধতা তাঁকে বাস্তবক্ষেত্রে এক মহাশক্তিমান মানবঈশ্বরে পরিণত করেছে , যিনি একান্ত নিজ উদ্যোগ-নেতৃত্ব-বুদ্ধি-বিবেচনা – শ্রম দিয়ে সমকালীন বাঙালিজীবনের সার্বিক আঁধার দূর করতে ব্রতী হন।সেকালে একমাত্র তিনিই অপার্থিব অদৃশ্য অলৌকিক বিশ্ব থেকে মানুষের চিন্তা-চেতনাকে পার্থিব দৃশ্যমান এবং লৌকিক জগতের দিকে ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়েছিলেন ; বুঝেছিলেন, হিন্দুসমাজের যাবতীয় অন্ধতা , অশিক্ষা ও (কু)প্রথানুগামিতা রোধ করে তাকে অগ্রগতির আলোকপথে নিয়ে যেতে হলে সুশিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তনের বিকল্প আর কোনো পন্থা নেই।


হিউম্যানিষ্ট ঈশ্বরচন্দ্র তাই শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের স্বার্থে নারী – পুরুষ নির্বিশেষে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার দিকটি উপলব্ধি করে স্কুলপ্রতিষ্ঠা এবং পাঠ্যবই রচনা ও প্রকাশনায় মনোযোগী হলেন। বর্ণপরিচয় , বোধোদয়, আখ্যানমঞ্জরী,কথামালা,ইতিহাস , উপক্রমণিকা , ব্যাকরণ কৌমুদী, ঋজুপাঠ, বেতাল পঞ্চবিংশতি প্রভৃতি তাঁর রচিত ও সম্পাদিত অধিকাংশ বই-ই মূলত স্কুল-কলেজে পাঠ্য। প্রভাবতী সম্ভাষণ ও অসমাপ্ত আত্মচরিত ছাড়া তাঁর সব রচনাই শিক্ষাবিস্তার এবং সমাজসংস্কারমূলক। কার্যত এই দুই ক্ষেত্রেই তাঁকে তুমুল বাধার মোকাবিলা করতে হলেও ঈশ্বরচন্দ্র মানবকেন্দ্রিক কাজ থেকে দূরে সরে থাকেননি কখনোই ; কারণ ’’বিদ্যাসাগরের পান্ডিত্য ছিল মানবকেন্দ্রিক, ঈশ্বরকেন্দ্রিক নয়।‘’ ৩


সমাজসংস্কারক বিদ্যাসাগর ছিলেন সাহিত্যক্ষেত্রেও একক।নিতান্ত শ্রীহীন,আড়ষ্ট, নিস্পন্দ বাংলা গদ্যভাষার লেখ্য ও কথ্য – দুটি রূপকেই যেভাবে অকুণ্ঠ পরিশ্রমে রুচিশীল মার্জিত ভাষায় রূপান্তরিত করেছিলেন ,মূলত সেটিই বাংলা সাহিত্যে তাঁর সবচেয়ে দৃশ্যমান ভূমিকা। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কথাটি মনে পড়ে , “সেনাবাহিনীকে সুসংহত, সুবিন্যস্ত করে সুপরিচালিত করতে পারলেই যেমন যুদ্ধজয় সম্ভব , বিদ্যাসাগর ঠিক তেমনি একজন সেনাপতির ন্যায় বাংলা গদ্যের উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে সুবিভক্ত, সুবিন্যস্ত, সুপরিচ্ছন্ন এবং সুসংযত করে তাকে সহজ গতি ও কর্মকুশলতা দান করে মানবীয় ভাব প্রকাশের সকল বাধা জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ”৪ আর এরই স্বীকৃতি তাঁর ‘ বাংলা গদ্যের জনক ‘অভিধাটি।


আসলে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে শিক্ষা – সাহিত্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গুণগত পরিবর্তন ও মানোন্নয়নের জন্য যে পদক্ষেপ বিদ্যাসাগর নিয়েছিলেন, তা-ই তাঁকে বাংলা সাহিত্যের একজন অবিসংবাদিত আত্মোৎসর্গী কর্মী এবং পথপ্রদর্শক রূপে ঐতিহাসিক মর্যাদা দেয়।শিক্ষাসংস্কারে বিবিধ পদক্ষেপ নেওয়ার শুরুতেই তিনি বলেছিলেন যে এই প্রচেষ্টার প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত “এক সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলা সাহিত্য গড়ে তোলা।“ [ বিদ্যাসাগর ও বাঙালী সমাজ (৩য় খন্ড)--বিনয় ঘোষ ] কারণ তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে শিক্ষাসংস্কারমূলক কাজে সার্থকতা পাওয়ার পাশাপাশি বাংলাভাষা ও সাহিত্যকেও সমৃদ্ধ করতে হবে এবং সেক্ষেত্রে এই ভাষায় জাতীয় সাহিত্য সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। সেই উদ্দেশ্য পূরণে তিনিই প্রথম বেদান্তের মতো দেশীয় দর্শনকে পাঠ্যসূচি থেকে সরিয়ে পাশ্চাত্যের জীবনমুখী দর্শন এবং সংস্কৃত শিক্ষার সঙ্গে ইংরেজি বিদ্যার সামঞ্জস্য ঘটানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।


লেখক হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র চেয়েছিলেন সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি সাহিত্যভান্ডার থেকে রস সঞ্চয় করে বাংলা সাহিত্যে তার সার্থক প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে এর লাবণ্যময় পুষ্টি ঘটুক। তাই ক্লাসিক সংস্কৃতসাহিত্য থেকে উপাদান – উপকরণ নিয়ে রচিত শকুন্তলা ও সীতার বনবাস, শেকসপীয়- রের দি কমেডি অব এরার্স থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রায় সরাসরি অনুবাদমূলক রচনা ভ্রান্তিবিলাস সহ বেশিরভাগ লেখাতেই ঈশ্বরচন্দ্রের যে শিল্পীমনের প্রকাশ , তাতে তাঁকে মৌলিক স্রষ্টা বলা চলে ।বস্তুত উনিশ শতকের দুর্বল বাংলাভাষা-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে তাঁর এধরনের সৃষ্টিকর্ম অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছিল, কেননা

” তাঁর আহরিত সংস্কৃত শব্দের সবগুলি বাংলাভাষা সহজে গ্রহণ করেছে , আজ পর্যন্ত তার কোনোটিই অপ্রচলিত হয়ে যায়নি --- তাঁর দান বাংলাভাষার প্রাণপদার্থের সঙ্গে চিরকালের মতো মিলে গেছে। কিছুই ব্যর্থ হয়নি।‘’৫


তবে বঙ্কিমচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাষার অপরূপ মাধুর্যের প্রশংসা করেও বলেছেন যে তাঁর সৃষ্টি অনুবাদমূলক , তিনি মৌলিক সাহিত্যস্রষ্টা নন।কিন্তু অন্য ভাষার সাহিত্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রচনা করলেও তাঁর নিজস্ব শব্দচয়ন, ভাষাগত মাধুর্য, কাহিনির প্রেক্ষাপটে নতুনত্ব ও অভিনবত্ব সৃষ্টি ইত্যাদির জন্য বিদ্যাসাগরকে বঙ্কিমচন্দ্রের মতো শুধুই অনুবাদক বলতে দ্বিধা হয়।মূলত তিনি অনুবাদক নন, শিল্পী ; আর তাই তাঁর অনুবাদকর্মও এক একটি প্রাণময় শিল্পকর্ম হিসেবে ধরা দেয়।

আধুনিক যুগের অনেকেই ঈশ্বরচন্দ্রের সম্পর্কে শুধু এটুকুই জানেন যে তিনি বাংলায় যতিচিহ্নের প্রবর্তক। কিন্তু সেইসঙ্গে এও স্মরনীয় যে ,তাঁর সমসময়ে বাংলা গদ্য ছিল প্রায় নিষ্প্রাণ। তখন সাহিত্যে সংস্কৃত ভাষারই রমরমা।ফলে গুটিকয়েক পন্ডিতের চর্চার মধ্যে বাংলা সাহিত্য সীমাবদ্ধ ছিল।বিদ্যাসাগরই বাংলাভাষাকে সেই সংকীর্ণতা থেকে সাধারণ জনসমাজে মুক্তি দেন। এই অ-পূর্ব কৃতির জন্য ঈশ্বরচন্দ্রের প্রতি শ্রদ্ধায় রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন -


”তাঁহার প্রধান কীর্তি বঙ্গভাষা। যদি এই ভাষা কখনো সাহিত্যসম্পদে ঐশ্বর্যশালিনী হইয়া উঠে, যদি এই ভাষা অক্ষর ভাবজননী রূপে মানবসভ্যতার ধাত্রীগণের ও মাতৃগণের মধ্যে গণ্য হয়, যদি এই ভাষা পৃথিবীর শোক – দুঃখের মধ্যে এক নতুন সান্ত্বনাস্থল, সংসারের তুচ্ছতা ও ক্ষুদ্র স্বার্থের মধ্যে এক মহত্ত্বের আদর্শলোক , দৈনন্দিন মানবজীবনের অবসাদ ও অস্বাস্থ্যের মধ্যে এক নিভৃত নিকুঞ্জবন রচনা করিতে পারে, তবেই তাঁহার এই কীর্তি তাঁহার উপযুক্ত গৌরব লাভ করিতে পারিবে।বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষার প্রথম যথার্থ শিল্পী। তৎপূর্বে বাংলায় গদ্যসাহিত্যের সূচনা হইয়াছিল, কিন্তু তিনিই সর্বপ্রথম বাংলা গদ্যে কলানৈপুণ্যের অবতারণা করেন।‘’ ৬


বস্তুত ভাষা যে শুধুমাত্র ভাব আদানপ্রদানের একটি মাধ্যম নয়, তার দ্বারা যে আরো কিছু করা সম্ভব তা বিদ্যাসাগরই প্রথম দেখিয়েছিলেন। তাঁর রচনামালার নিপুণ পর্যবেক্ষণে বোঝা যায় বক্তব্যকে সরল সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে কীভাবে সাহিত্যের প্রকৃত সার্থকতা সৃষ্টি করা সম্ভব। প্রমথনাথ বিশী তাই যথার্থই বলেছেন -

‘’ বাংলা গদ্য সংসারের নিত্য চলাচলের ওপর এসে পড়েছে।এতকাল যা মন্থরভাবে চলছিল, কয়েকজন বলবান মাল্লার গুণের টানে বা সরকারি সাহায্যের পালের বাতাসে এবারে তা হাজার বৈঠার ক্ষিপ্র তাড়নে চঞ্চল হয়ে উঠেছে।বৈঠাওয়ালাদের প্রধান ঈশ্বর গুপ্ত , আর হালে অবশ্যই আছেন মনীষী রামমোহন। গদ্যসাহিত্য ব্যাপক মধ্যবিত্ত সমাজের আত্মপ্রকাশের বাহন। এইসব মাঝিমাল্লাদের সকলেই মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ভুক্ত , দিল্লির বাদশার খেতাবপ্রাপ্তি সত্ত্বেও রামমোহন মধ্যবিত্ত ছাড়া কিছু নয়। বহুজন কর্তৃক বহুতর প্রয়োজনে ব্যবহৃত ভাষায় এসেছে নমনীয়তা ; তাতে ঢুকেছে নতুন শব্দভান্ডার তাদের ইঙ্গিত ও স্মৃতির পরিমন্ডল দিয়ে , বেশ বুঝতে পারা যায় যে অনেকগুলো কলমের চেষ্টায়, তাদের মধ্যে আনাড়ির কলমের সংখ্যাও কম নয় , ভাষার কর্দম উত্তম রূপে মথিত হয়েছে ; এবারে মূর্তি গড়ে তুললেই হয়, এলেই হয় শিল্পী। এলেন ‘ বাংলা গদ্যের প্রথম যথার্থ শিল্পী বিদ্যাসাগর ‘।‘’ ৭

----------------

উল্লেখসূত্রঃ

১. বিনয় ঘোষঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ; পৃ. ১৫২।

২. ওইঃ ওই ; পৃ ১৫৭।

৩. ওইঃ ওই ; পৃ ৪৬।

৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ চারিত্রপূজা ; বিদ্যাসাগর সম্পর্কিত প্রবন্ধ।

৫. বিদ্যাসাগর স্মৃতিমন্দিরে প্রবেশউৎসবে রবীন্দ্রনাথের বাণী ; মেদিনীপুর,১৩৪৬।

৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ চারিত্রপূজা ; বিদ্যাসাগর সম্পর্কিত প্রবন্ধ।

৭. সায়ন্তনী পত্রিকা ( অধুনালুপ্ত ) বিদ্যাসাগর সংখ্যা।




লেখক পরিচিতি - লেখিকা ডঃ শম্পা রায়, পেশায় শিক্ষিকা, কথাসাহিত্য নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন।

Comments


নীড়বাসনা  বৈশাখ ১৪২৯
bottom of page