কবিতা - ভেন্টিলেশান
- কৌশিক দাশ
- Dec 24, 2019
- 1 min read
সেনবাবুর দেহে নাকি এখনও প্রাণ আছে!
আজ পাঁচ দিন হল ভেন্টিলেশানে
ফুসফুসে ঢুকছে নাকি শুদ্ধ অক্সিজেন
চলছে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস,
ওরা বলছে বাবা এখনও বেঁচে আছে
পেমেন্টটা ঠিকঠাক করে যাও।
দেহ নড়ে না, চড়ে না, শ্বাস প্রশ্বাসের কোনও চিহ্ন নেই
দেখে মনে হয় মৃতদেহ শুয়ে আছে,
বাবা মৃত না জীবিত?
প্রশ্নটা বার বার আসে মনে,
সাত দিন কেটে গেল বাবা ভেন্টিলেশানে
তখনও ওরা বলছে বাবা বেঁচে আছে,
পেমেন্টটা করে যাও।
টাকা কড়ি সোনা দানা সব শেষ,
এক কাঠা জমি ছিল, তাও বেচে
জোগাড় হল নার্সিং হোমের টাকা,
ওরা বলছে বাবা বেঁচে আছে!
পেমেন্টও চলছে শেষ সম্বলটুকু বেচে।
চাল ডাল সব ভেন্টিলেশানে
বাবা কি সত্যিই বেঁচে আছে?
তেইশ দিন নার্সিং হোম
টানা এগারো দিন ভেন্টিলেশান,
সোনা দানা জমি জমা ঘটি বাটি
সব গেল চলে,
আমরাও ভেন্টিলেশানে।
অবশেষে নার্সিং হোম থেকে আসে
বাবার মৃত্যু সংবাদ।
বাবা কি সত্যি বেঁচে ছিল?
বার বার ঘুরে ফিরে আসে একটাই প্রশ্ন
বাবার মৃত্যু দিনটা ঠিক কবে?
হঠাৎ পিঠে হাত রাখে কেউ
আরে ডঃ রয়, আপনি?
এই তো আপনাকে কালো পোশাকে দেখলাম ভেতরে
এখন সাদা পোশাকে? এখানে?
আর থাকতে পারলাম না, ডঃ রয় ভেতরেই আছেন
তাহলে আপনি কে?
আমি যে তোমার বন্ধু, কিছু কথা তোমাকে বলতে চাই-
তোমার প্রশ্নটা আমি জানি
সব সিস্টেমের শিকার ভায়া,
ওঠো জাগো, সম্মিলিত হয়ে সিস্টেমে নাড়া দাও
তখন বুঝবে নার্সিং হোম,
আই সি ইউ, ভেন্টিলেশান ঘূর্ণাবর্ত,
পেয়ে যাবে তোমার প্রশ্নের উত্তর।
ডঃ রয়... ডঃ রয়… ডঃ রয়
আপনি কোথায় গেলেন?

Comments