top of page

কবিতা - পরাভ্রমণ

  • দেবাশিস ভট্টাচার্য
  • Dec 24, 2019
  • 1 min read

Updated: Feb 20, 2021

কয়েকটি বিড়াল ছানা খেলা করে

লাল গোলাপি হলুদ ঘন নীল পশমের বলের সঙ্গে

বলগুলি নিজে থেকে বড় বা ছোট হয়

বিড়ালছানাগুলি একই বয়সে একই আকৃতির থেকে যায়

সেই সব ছানাদের গায়ে জেব্রার মত ডোরা,

শাদা কালো, সবুজ বেগুনি, লাল নীল

মেঘের মত তারা এক নির্বোধ অলস আহ্লাদে ভেসে চলে

কখনো উলটে কুঁকড়ে যায়

কখনো গোল বলের মত

আমি তাদের তলপেটে, নরম রোঁয়া ওঠা থাবায়

সুড়সুড়ি দিয়ে বলি, ওরে আমার

তুলতুলে পশম তুলতুলে বিড়াল

ওরে আমার কিচ্ছুবিচ্ছুবুলত্তা

ওরে আমার উম্মা বিধুশেখর

ও আমার রুয়েন্দা অমলেট

ইতিমধ্যে বাড়িঘর মহাকাশে নক্ষত্রপথে

অনেক আলোকবর্ষ দূরে সরে গেছে

আমি না তাদের নাগাল পেলাম

না তারা আমার

ব্লটিং পেপারে শুষে নেবার মত

কৃষ্ণগহ্বর আমার সব প্রতিলিপি হজম করে দিয়েছে

আমার চেতনার হার্ড ডিস্কে

নাম না জানা ভাইরাস ঢুকে

বহুযুগ আগের আসল লিপি ঝাপসা দুর্বোধ্য করে দিয়েছে

রাস্তার ল্যাম্প পোস্টটি এখানে একান্তে খাড়া

ধোঁয়াটে পারদ বাতি

কোনও দূর মত্ততার রাত মনে পড়ায়

শহর একটু একটু টলমল করে

নদীর সঙ্গে দেখা করতে যায়

খেয়াঘাটখানি ফাঁকা ধু ধু করছে যেন এক অন্য ভুবন

মধ্যরাতে খেয়াঘাট পাহারা দেয় শ্রেণীবদ্ধ উদ্ভিদ প্রহরীরা

তারা কেউ এলে নিঃশব্দে তাদের

ছায়া বিছিয়ে দেয় মধ্যরাতের অতিথির বসার জন্য

ঠিকানা ভুলে গেছি বলে ফিরতে পারি না

বিড়ালছানারা এখনো নিশ্চিন্তে খেলা করে

পশমের বল নিয়ে

আমাদের সমান্তরাল উঠোনে

স্থান কালের মঞ্চের বাইরে

অন্ধকারতম কোয়ান্টাম বিন্দুতে

Comments


নীড়বাসনা  বৈশাখ ১৪২৯
bottom of page