top of page

গল্প - ভূতভূতুম

  • দীপাঞ্জন মাইতি
  • Mar 28, 2019
  • 7 min read

জয়নগর থেকে বাসটা ছাড়তেই এত দেরী করল.. পোঁটলা'র তখনই ঠাহর হয়েছিল পৌঁছতে বেশ দেরী হবে। পোঁটলা, মানে প্রতুল দত্ত; ছোটবেলা থেকে যেখানেই যেত একখানা ব্যাগ ঝুলিয়ে যেত সেই থেকেই এই নাম। বড় হতে হতে পিঠে ছোট্ট একটা কুজ গজিয়ে নিজের নামে এক্কেবারে পার্মানেন্ট করে ফেলেছিল পোঁটলা। সে যা হোক নড়তে চড়তে বাস যখন গড়গড়িয়া পৌঁছল তখন রাত সোয়া এগারোটা। যদিও পোঁটলা কলকাতায় এমন সময়েই রোজ ঘরে ফিরে থাকে; তবু দেশ গাঁয়ের দিকে সে ঢের রাত। তার ওপর নাতজামাই বিয়ের পর প্রথমবার এসেছে তাও আবার কাউকে না জানিয়ে। বেচারা আর কাকে জানাবেই বা কি? এসেছে তো পালানো বৌ খুঁজতে.. সে কথা কি আর ফলাও করে বলার!

মধ‍্যমগ্রামের পোঁটলা আর বারাসাতের পারমিতা বিয়ে হয় বছর দুই আগে। মা বাবা দেখেই বিয়ে দিয়েছিল। বৌ বিয়ে করে দাসপাড়ায় এক কামরার ভাড়া ঘরে তুলেছিল পোঁটলা। দিন আনি দিন খাই সংসার মন্দ যাচ্ছিল না। সে সারাদিন ফিল্টার বেচে বেড়াত আর পারমিতা টিউশন পড়াত। বৌ কে পোঁটলা বড় ভালোবাসত। নইলে এতদিন বাদে..! তা মাস দেড়েক আগে পাড়ায় একদিন খুব ঝামেলা - মামুদের দলের সাথে বাপীর দলের। দুপুরবেলায় ধূম ধাড়াক্কা কাণ্ড.. এই মারপিটে মারা গেল দু'দলের চারটে ছেলে; মামুদ আর পারমিতা। পারমিতা যে ঠিক কি করে এদের মাঝে পড়ল সেটা পোঁটলা জানতে পারে নি। পাড়ার লোকে যদিও বলতো পোঁটলার বৌ এর নাকি পাড়ার দাদা মামুদের সাথে ফষ্টিনষ্টি ছিল সেই চক্করেই.. কিন্তু পোঁটলা সে কথা মোটেই মানে না। তবে থেকে তার সেই এক রা "তুমি কেন ছেড়ে গেলে গো আমায়?" বেচারা একরকম নাওয়া খাওয়া ছেড়েই দিয়েছিল প্রায়। সারাক্ষণ বড় অন‍্যমনস্ক থাকত। এই করেই একদিন বাইকটা দিল বাসে গুঁজে।

হাসপাতালের বেড থেকে নেমে যেই বুঝল তার পোঁটলাটা গায়েব হয়ে গেছে প্রথমটা খানিক চমকেই গেছিল প্রতুল। তারপর ধীরে ধীরে বুঝল সে হঠাৎ বেশ খানিকটা হাল্কা হয়ে গেছে। বেডে ভাঙাচোরা বডিটা দেখে একটু যে মন খারাপ করে নি তা নয়.. কিন্তু পারমিতার কথা মনে হতেই মনটা এক ঝটকায় চাঙ্গা হয়ে গেল পোঁটলার। এক ছুট্টে চলে গেল দাসপাড়ার ঘরে। তার স্থির বিশ্বাস বৌ'টা নিশ্চয় এখনও সেখানেই অপেক্ষায় আছে তার পোঁটলার। ভূতেরাও তো মানুষের মত কত কিছু চায় কিন্তু সব চাহিদা কি আর পূরণ হয়! পোঁটলা পৌঁছে দেখল দাওয়ায় বাপীর দলের বখাটে ছেলে দু'টো বসে আছে কিন্তু পারমিতা নেয়। জিজ্ঞেস করাতে বলল সে নাকি পেত্নী হয়েই পাড়া বদলেছে। কোথায় আছে কেউ জানে না, আর সঙ্গ মামুদ ভাইও নাকি সেদিন থেকে ফুড়ুত। প্রতুল সব শুনে বড় দিশেহারা হয়ে পড়ল। কিছুতেই তার আর কিছু আসে না যেন মাথায় তখন.. শ্বশুর শাশুড়ি তো এখনও ওপারে তাদের কাছে তো যাওয়ার উপায় নেই। তাহলে কি করবে, কার কাছে যাবে, কোথায় খুঁজবে পোঁটলা তার পারোকে!

দু'দিন মনমরা হয়ে ওমনি পড়েছিল পোঁটলা। তারপর বখাটে দলের বান্টির মাথায় এলো মোক্ষম আইডিয়া। বান্টি পোঁটলাকে বলল "বস তোমার পারো ডার্লিংকে এক্ষুনি খুঁজে পাওয়া যাবে কিন্তু ক‍্যাশ ছাড়তে হবে তার জন‍্য।" পোঁটলা: ভাই ক‍্যাশ? এদিকেও ক‍্যাশ চলে নাকি? বান্টি: চলে বই কি! নতুন পুরনো সব চলে। ডিজিটালটা হয় নি এখনও। তা তুমি তো কাকা দু'দিন ধরে শোক করেই গেলে। নতুন মাল তো নেই। তা পুরনো মানে বাতিল নোট কিছু আছে? পোঁটলা: বাতিল নোট! বান্টি: হ্যাঁ ঐ ডিমনির সময় ব্যাঙ্কে জমা করতে পারো নি এমন নোট? পোঁটলা: তা তিনটে হাজারের নোট মিস গেছিল বটে.. কিন্তু সে তো.. বান্টি: তিন হাজার! বস তাহলে তো আর ভাবনা নেই। নিকালো নিকালো জলদি নিকালো। এর তোমার ঘরের গোড়াতেই তো বসে আছি যাও লেকে আও। পোঁটলা ঘরদোর খুঁজে খুঁজে একটি নোট পেল। তাই বান্টির হাতে দিয়ে বলল "বান্টি ভাই এই আছে। আর পাচ্ছি নে। তুমি উপায় বাতলে দাও পারোকে খোঁজার। পারোকে পেলেই তোমায় বাকি টাকা জোগাড় করে দেব।" পোঁটলার প্রতি মায়ায় না বাপীর দলের ছেলে বলে মামুদের প্রতি রাগে জানা নেই, তবে উপায় বলে দিল বান্টি। শুধু বলেই দেয় নি যা দরকার সব জোগাড় করে দিল। না হলে তার পারোকে খুঁজে পাওয়ার আশা পোঁটলাকে ছাড়তে হত।

গড়গড়িয়াতে বাস থেকে নেমে কোথায় যেতে হবে সে ধারণা পোঁটলার নেই। সে শুধু জানে পারো এ গ্রামেই আছে দাদুর বাড়িতে। কিন্তু সে বাড়ির ঠিকানা তাকে খুঁজে বার করতে হবে। রাত গভীর হলে সুবিধেই বটে, কিন্তু এমন অচেনা গ্রামে অচেনা ঠিকানা চট করে খুঁজে ফেলে সে সাধ্যি ভূতের বাপেরও নেই। তার দরকার এগ্রামেরই এক চোস্ত প্রেমিক ভূত যে তার প্রেমের কথা শুনবে, প্রেমের ব্যথা বুঝবে। বাসস্ট‍্যান্ডে দাঁড়িয়ে এইসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতেই সামনে এসে দাঁড়ালো একখান টোটো। পিন্টু টোটোওলা একগাল হেসে বলল - "কি বস কারো ওয়েট করছেন না কি! কেউ আসবে নিয়ে যেতে? নইলে আমার টোটোয় ভরসা। এদিকে এখন আর গাড়ি পাবেন না।"

কথা না বাড়িয়ে টোটোয় উঠে পড়ল পোঁটলা। উঠেই বলল "ভাই এখানে নেতাপুকুর আছে? দিলজলা গার্ডেন! চুন সুড়কির মাঠ? কুলতলি মেনরোডে সিংজির ধাবা যার মুরদাবাদ চিকেন স্পেশাল!..." পিন্টু: আরে দাদা এসব তো আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কিন্তু আপনি মশাই যাবেন টা কোথায়? পোঁটলা: আমি ভাই সব জায়গায় যাবো। আরো জায়গা আছে। সব লিস্ট করে এনেছি। পিন্টু: যাবেন তো বুঝলাম। কিন্তু ওতো সাইট সিইং করতে গেলে তো সকাল হয়ে যাবে। সব ঘোরাতে তো পারবো না। পোঁটলা: না না একদিনে না। আচ্ছা তুমি আগে নেতাপুকুরের দিকটা চল তো। আমি আসলে এদিকটা চিনি না। তুমিই আমাকে রোজ নিয়ে যেও। যা খরচা লাগে আমি দেব। তোমার লস হবে না। পিন্টু: লসের কথা না। আমিও এদিকে বেশীদিন না। তবে চাপ নেবেন না জি পি এস মানে ঘোস্ট পজিশনিং সিস্টেম আছে সব হয়ে যাবে। তবে আজ, কাল ডিউটি দিতে পারবো। পরশু মামদোদার বিয়ে। ওদিন গাড়ি বার করা যাবে না। আপনি থাকলে তারপর দিন আবার ঘোরাতে পারি। পোঁটলা: তাই হোক। তাই হোক। আচ্ছা আমায় একটা হোটেলের ব্যবস্থাও কিন্তু ভাই তোমাকেই.. পিন্টু: হা হা হা.. হাসালেন মাইরি। এখানে আবার হোটেল কৈ। থাকার ঠিকানা নেই? তাহলে তো.. পোঁটলা: তাহলে? পিন্টু: তাহলে আর কি! আমি ব্যাচেলার মানুষ ক'দিন আপনার কাছা খুলে ভালোমন্দ ঠুসে নেওয়া যাবে। পোঁটলা: মানে.. পিন্টু: মানে বুঝলেন না! আমার সাথেই রয়ে যাবেন। মামদোদা পুরনো স্টেশনঘরে ব্যবস্থা করে দিয়েছে ফুল। আমি আর লালু দু'জন থাকি। লালু এখন বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত আপনি ওর জায়গাতেই সেট হয়ে যাবেন। পোঁটলা: বেশ তবে তাই হবে। আচ্ছা ভাই তুমি এখানে পারমিতা নামে কাউকে চেনো? পিন্টু: না তো কাকা এ নামের তো কেউ.. খেয়াল পড়ছে না। বললাম না আমিও এদিকে নতুন। সবার সাথে তেমন চেনা হয়ে ওঠে নি আর কি। তাও কাদের বাড়ির বলতে পারেন? পোঁটলা: আসলে এটা তো পারমিতার মামাবাড়ির গাঁ। ওর দাদুর নাম ছিল নিতাই কিন্তু টাইটেলটা ঠিক বাঁড়ুজ্জ‍্যে না ভর্চাজ্জি সেটা খেয়াল নেই। পিন্টু: ও বাবা দাদু কেস? তাহলে তো কাকা আমাদের হাতের বাইরে। আপনি কি নতুন মাল? জানেন না আমাদের কেবল নিজের পুরুষ আর আগু পিছু শুধু এক এক পুরুষ অবধি অ্যালাউ দাদা। পোঁটলা: সে কি! তাহলে দাদু দিদা? পিন্টু: হবে না। দাদু দিদা কানেকশন হবে না। আপনি মাইরি ঠিক করে বলুন তো কেন এসেছেন? আপনার ঐ পারমিতাকে খুঁজতে? পোঁটলা: হ্যাঁ গাড়ি থামিয়ে টোটোওলা বলল পিন্টু: আচ্ছা এই পারমিতা কে হয় বলুন তো আপনার? দাদু দিদা কেসে আমি নেই কিন্তু। বেআইনি কাজ আমি করি না ফুল বাম্বু হয়ে যায়। পোঁটলা: আরে না না দাদু দিদা কেস না। পারো আমার গত হওয়া স্ত্রী। মা বাবা সব জ্যান্ত তো। তাই এখানে দাদুর বাড়িতে আছে। ও এখনও আমার খবরটা পায় নি তো তাই.. ও আচ্ছা.. বলে টোটো চালু করে টোটোওলা আবার বলতে শুরু করল। আরে দাদা কি কেস জানেন তো কয়েক'টা দাদু যারা জোয়ান কালে টেঁসে গেছিল তারা নাতনীর জেনরেশনে সেট হয়ে যাচ্ছিল তারপর দিদারা এসে সে হেব্বি বাওয়াল আর কি! সেই থেকে একদম আইন করে প্রজন্ম ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। পরকীয়াতে ছাড় আছে। কার বর কার বৌ কখন মরবে সে অপেক্ষা কি আর সবাই করে! তবে ঐ আইন ঐ প্রজন্মের ছাড় আগু পিছু এক এক। তা আপনার আর আপনার পারোর ক'দ্দিন হল এপারে? পোঁটলা: আমার তো চারদিন মোটে। পারমিতার মাস দেড়েক মত হবে। পিন্টু: তা মাস দেড়েক হয়ে গেছে.. সে কি আর সিঙ্গেল আছে দাদা! আচ্ছা আপনি জানলেন কি করে এখানেই আছে আপনার পারো? পোঁটলা: আরে আমার পাড়ার একটা ছেলে; ওর ভাতার কার্ড এজেন্টের সাথে ভালো হাত আছে। ঐ তো আমার কার্ডটা করিয়ে দিল সাথে জেনে দিল যে এই অঞ্চল থেকেই পারমিতার ভাতার কার্ড হয়েছে। পিন্টু: কার্ড তো হতেই পারে তার মানেই এখানে আছে সে কথা জানলেন কি করে! পোঁটলা: তা ঠিকই। কিন্তু ভাইয়া কোথাও থেকে তো একটা খুঁজতে শুরু করতে হবে.. আমার আর কোনো কিছু মাথায় আসছিল না। বান্টি বলল এখানে এসে দেখতে। তাই.. পিন্টু: আর এই যে সাইট সিইং এর লম্বা লিস্টি? পোঁটলা: ওপারে থাকতে ওর যে সব জায়গা পছন্দ হতো তার থেকে যা যা এপারে পছন্দ হতে পারে তার লিস্ট ওটা। টোটোওলা আর কিছু বলল না। দু'দিন পোঁটলার লিস্ট ধরে ধরে নিয়ে গেল সব জায়গায়। দ্বিতীয় দিনের ভোররাতে দু'জনে গিয়ে থামলো কুলতলি মেন রোডে সিংজির ধাবায়। ধাবায় গিয়ে পোঁটলা টোটোওলা পিন্টুকে বলল "পারমিতার এই ধাবার কথা বলত খুব জানতো। বলত ছোটোবেলায় মামাবাড়ি এলেই আসত এখানে। তারপর রোড চ ওড়া করার সময় ভাঙা হয় ধাবাটা আর আসা হয় নি। এখানে এলে ও নিশ্চয় এসে থাকবে এ ধাবায়।" পিন্টু বলল আপনার কাছে বৌদির কোনো ছবি আছে? ওদের দেখিয়ে জিজ্ঞেস করুন না। যদি বলতে পারে।

পিন্টুর প্রস্তাবমত পোঁটলা সর্দারজিকে পারোর ছবি দেখালো ভাতার কার্ড থেকে তোলা। সর্দারজি বললেন "ইয়ারা হার রোজ হাজার সে উপর ভূত প্রেত আতে হে ইঁহা। কিস কিসকা চহেরা ইয়াদ রখ্খু? যিনকা একদম ফ্রেস রোড সাইড কেস হোতা হে উনকা ভাতার কার্ড হাম করবা দেতে হে। ও বালা লিস্ট তুম দেখ লো।" পোঁটলা মুখ নামিয়ে "নেহি সর্দারজি এ রোড সাইড কেস নেহি হে" বলে ফিরে গেল। পিন্টু পোঁটলার হাত থেকে ছবিটা নিয়ে খুব ভালো করে দেখে পোঁটলার সামনে মোবাইলটা বার করে ফেসলেসবুকটা খুলে বসল। নিজের ফ্রেন্ডলিস্টে গিয়ে পুঁটি লিখতেই বেরিয়ে এল পোঁটলার পারোর প্রোফাইল। পারমিতার মামাবাড়ির ডাকনাম যে ছিল পুঁটি, সে খেয়ালই ছিল না পোঁটলার। পিন্টুর ফেসলেসবুক প্রোফাইলে পুঁটির ছবি দেখে আনন্দে আত্মহারা পোঁটলা পিন্টুকে জড়িয়ে ধরে বলল "এই তো আমার পারো। ও তো তোমার ফ্রেন্ডলিস্টেও আছে। তুমি আমার সাচ্চা দোস্ত। তোমার জন্যই আমার পুঁটিকে খুঁজে পাওয়া। চল আমাকে পুঁটির কাছে নিয়ে চল।" পিন্টু নিজেকে এক ঝটকায় ছাড়িয়ে নিয়ে বলল "তুই পোঁটলা? তোকে তো চিনতেই পারি নি। তোর কুজটা কৈ গেল?" পোঁটলা: তুমি আমায় চেনো! কি করে? আর তুমি পারোকেই বা..! পিন্টু: আরে যেদিন বাপীদের সাথে হেব্বি বাওয়াল। ঐদিনই তো পরিচয় হল। মামুদদার সাথে বৌদির হালকা ইন্টু পিন্টু ছিল। ঝামেলার সময় মামুদদা তোর ঘরেই ছিল। আমি আর লালটু পাহারা দিচ্ছিলাম। ওরা অ্যাটাক করল। আমরা মামুদদাকে গার্ড করতে ভেতরে ঢুকলাম। সেখান থেকে পেটো চার্জ করতে গিয়ে পেটো রিলিজ হওয়ার আগেই বুম। ব‍্যাশ.. ভাড়া ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে সবাই ফিনিশ। মামুদদার লাইফের রিস্ক ছিল। বাপীর দলের ছেলে দু'টো এপারেও বাঁশ দিতে পারে বলে বৌদি আমাদের নিয়ে এখানে চলে এল। মামুদদা হয়ে গেল মামদো, পারো বৌদি পেত্নী হয়ে পুঁটি, আমি প্রিতম থেকে পিন্টু, লালটু লালু ব‍্যাশ। দেখো প্রতূলদা সরি; কিন্তু পুঁটি বৌদিকে তুমি ভুলে যাও। কাল রাতে মামদোদার সাথে বিয়ে বৌদির। ওপারে তুমি বর আর মামুদদা পরকীয়া ছিল কিন্তু এপারে তুমি লেট করে ফেলেছ বস। অবশ‍্যি পরকীয়া যদি কপালে জোটে সে দেখতেই পারো। কিন্তু মামদোদার এদিকে স্ট্রং হোল্ড। তোমার সাথে দু'রাত ঘুরে মায়া পড়ে গেছে তাই বলছি হালকা করে পাতলা হয়ে যাও না হলে..."

এরপর পিন্টু পোঁটলাকে সঙ্গে রাখে নি আর। পোঁটলা লুকিয়ে চুরিয়ে মামদো আর পুঁটির বিয়ে দেখে মূর্ছা গেছিল। কে বা কারা যেন ওকে গড়গড়িয়ার ভূতচাতালে ভর্তি করে আসে। সেরে উঠে কলকাতা ফিরে এসেছে পোঁটলা। বান্টির সাথে বাতিল ফিল্টারের ব‍্যবসা শুরু করেছে। একটা ভালো টুয়েল্ভ জি মোবাইল কিনে ফেসলেসবুকে দু'খানা ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। একখানা মামদোকে জব্দ করবে বলে ডেমনস‍্যন্ড্রা ফ্রম দা ব‍্যান্ড্রা নামে। আরেকখানা পুঁটির সাথে পরকীয়া করবে বলে চুলবুল চন্দ আমি খুব মন্দ নামে। আপাতত পরকীয়া ভালোই চলছে বলে জানা গেছে। আসলে পোঁটলা বৌ'টাকে বড় ভালোবাসত তো!


Comments


নীড়বাসনা  বৈশাখ ১৪২৯
bottom of page