কবিতা - ভূতের সন্ধানে
- অভিষেক চৌধুরী
- Jan 1, 2019
- 1 min read

ডাকিনীতলার বহু পুরানো বটগাছে ওই ডাইনী
অমাবস্যার রাতে বাঁশবনে নাকি সুরে ডাকে পেত্নী
শ্মশানে কাপালিকের পাশে নড়ে নরকঙ্কাল খুলি
মাঝরাতে হানাবাড়ি ভেদ করে বিকট কান্না-বুলি
পুকুরপাড়ে বারবেলায় ক্রমাগত অশরীরী ডাকে
ছাতে উড়ে আসে লাল শাড়ী, রেলিং ভরে আলতার দাগে
পূর্ণিমায় ফাঁকা মাঠে একদল চোরাচুন্নির নৃত্য
অশুভ আত্মা শেষরাতে ওই নিশিডাকে অবিরত
আলখাল্লা পরে কানাভুলো পথ ভোলায় বাবলাবনে
অসাড় দেহ বোবায় ধরে, ঘুমের মধ্যিখানে
নিশুতি রাতে কবরখানায় সাদা চাদর জড়ানো কে
সন্ধ্যার পর মাঝনদী থেকে আলেয়া ধাঁধায় চোখে
শিরীষগাছের ডালে পেঁচাপেঁচী খুবলে খুবলে খায়
গলির শেষের আম-মগডালে শাঁখচুন্নি পা দোলায়
অসুস্থ দাদুর তেঁতুলগাছে রাতে কুক্পাখী ডাকে
বড় বড় দাঁতে রক্তপিশাচ শিশুদের পোরে মুখে
মেঘের আড়ালে তৃতীয়ার চাঁদ যেন হিহি করে হাসে
পরিত্যক্ত গুদামঘরে ছায়ামূর্তির ফিসফিস ভাসে
জেলের নৌকা খেয়াঘাটে এলে মাছ চুরি করে মেছোভুত
ছেলেধরা সেজে মামদো-জামদোর ঘাড় মটকানো বড় অদ্ভুত
মাঝ-সমুদ্রে ঘূর্ণির নীচে কঙ্কাল জড়ানো শিকলে
জমিদার-বাড়ী-বৈঠকে সাহেবের তৈলচিত্র হঠাৎ দোলে
স্কন্ধকাটা মাথা খুঁজে ফেরে রেললাইনের ধারে
অপঘাতে মৃত প্রেতাত্মা আসে, প্ল্যানচেট টেবিল নড়ে
অন্ধগুহার আনাচে-কানাচে ঝোলে রক্তচোষা জিন
তাই, পৈতাধারী ব্রহ্মদৈত্য সবার ন্যায়বিচারে আসীন
আর কোথা এমন সূক্ষ্ম ভয়ঙ্কর চরিত্র উত্তেজনা ও ভাষা
বাংলা ভুত সাহিত্য আমার চিরকালের ভালবাসা
Comments