top of page

কল্পবিজ্ঞান বিভাগ - (গল্প) - মনমুকুর

  • ডঃ দেবকুমার মিত্র
  • Apr 11, 2018
  • 6 min read

Updated: Feb 19, 2021



রোজকার মত সকাল ছটায় ঘুম টা ভাঙতেই দুরন্ত গতিতে চলা ট্রেনে নিজের বার্থে উঠে বসলেন ডঃ আনন্দ সেন। উল্টোদিকে অধ্যাপক পার্থ রায়ের বার্থ টা খালি। ভদ্রলোক সম্ভবত টয়লেটে গেছেন কারণ ওনার গন্তব্যস্থল কলকাতা, সেটা গত রাত্রেই শুনেছিলেন। ডঃ সেন অবশ্য অনেক আগেই আর মাত্র ঘণ্টা তিনেক বাদে নেমে যাবেন। গতকাল সন্ধ্যায় ট্রেন ছাড়ার পর ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হয়। পঞ্চাশোর্ধ ডঃ সেনের থেকে ভদ্রলোক অন্তত বছর কুড়ির ছোট। কলকাতার একটা নামজাদা কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক।


গতকালের খবরের কাগজে বেরোনো স্টিফেন হকিংসের একটা মন্তব্য নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ আলোচনা হয় গতরাতে। হকিংস মন্তব্য করেছেন, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত কিছু ব্যাখ্যা করার জন্য পদার্থবিদ্যার তত্ত্বগুলোই যথেষ্ট। এজন্য ঈশ্বরধর্ম কিংবা অতীন্দ্রিয় বোধের মত বিমূর্ত কোন কিছুর ধারনা আমদানি করাটা নেহাতই কুসংস্কার।


ভদ্রলোককে একরকম হকিংসের ক্ষুদ্র সংস্করণ বলা যায় কারণ বিজ্ঞান, বিশেষত পদার্থবিদ্যার বাইরে, কোন কিছুরই তাঁর কাছে বিশেষ গুরুত্ব নেই। ডঃ সেন একজন সাইক্রিয়াট্রিস্ট এবং মানুষের মনের জটিল ক্রিয়াকলাপ নিয়ে তাঁর অধ্যয়ন ও গবেষণার বিষয় জানার পর তো অধ্যাপক মহাশয়ের মুখে একটা চাপা অবজ্ঞাই ফুটে উঠেছিল। ডঃ সেন অবশ্য মনো বিজ্ঞান ও মনোরোগ চিকিৎসার গুরুত্ব বা প্রাসঙ্গিকতা সম্বন্ধে এই স্বল্প পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কোন আলোচনাতেই যান নি। গতরাতের আলোচনায় প্রধানত অধ্যাপকমশাই তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের সমর্থনে হকিংস সুলভ সদম্ভ আত্মবিশ্বাসে অনেক কথা বলছিলেন।


ডঃ সেনের অলস চিন্তায় ছেদ পড়ল।


“গুড মর্নিং”, কাঁধে তোয়ালে আর হাতে টুথব্রাশ ইত্যাদি নিয়ে হাসিমুখে সামনে দাঁড়িয়ে অধ্যাপক রায়। প্রত্যভিবাদন করে চটিতে পা গলিয়ে টয়লেটের উদ্দেশ্যে এগোলেন ডঃ সেন। কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে দেখলেন, অধ্যাপক মশাই বেশ গুছিয়ে বসে চা পান করছেন। চা শেষ করে জানলায় হেলান দিয়ে আজকের খবরের কাগজ টা খুলেই একটু ব্যস্ত হয়ে কি যেন খুঁজতে লাগলেন বালিশ বিছানা আর পাশে রাখা হাতব্যাগের মধ্যে।


“চশমা খুঁজছেন বোধহয়। ওটা কিন্তু আপনার চোখেই আছে”


কথাটা শুনে একটু বিশ্বাস মেশানো অপ্রস্তুত হাসির সঙ্গে এটা উত্তর এল-

"ঠিক ধরেছেন তো, এই ভুলটা আমার প্রায়ই হয়।"


বলেই ড্ঃ সেন তার চা আর স্যান্ডউইচে মন দিলেন।

বোধহয় মিনিট কুড়ি ও কাটেনি অধ্যাপক রায় হঠাৎ খবরের কাগজ টা ছুড়ে ফেলে "সর্বনাশ হয়েছে" বলে ত্রস্ত ভাবে ই খালি পায়ে ই টয়লেটের দিকে দৌড় লাগালেন। মিনিট দু তিনের মধ্যে ফিরে এসে বিপন্ন ভাবে বসে রইলেন -


"কী হলো? মানিব্যাগ আর মোবাইলটা টয়লেটে ভুলে ফেলে আসায় খোয়া গেল বলে মনে করছেন"।


ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানিয়ে বিষণ্ণ মুখে অধ্যাপক বললেন-

"হাজার তিনেক টাকা ছাড়া ও দুটো ক্রেডিট কার্ড ছিল। এক্ষুনি তো কার্ড দুটো ব্লক করাও সম্ভব হচ্ছেনা"।


ডঃ সেন এতক্ষণ এক দৃষ্টে তাকিয়ে ছিলেন অধ্যাপকের দিকে। এবার শান্ত গলায় বললেন -

"আপনার ওই ছোট সুটকেস টা র ভিতর দেখুন তো। মনে হচ্ছে ওটার মধ্যে বাঁ দিকে জামাকাপড়ের তলায় আপনার মোবাইল আর মানিব্যাগ টা রেখেই আপনি টয়লেটে গিয়েছিলেন।"


তার কথায় কর্ণপাত না করে প্রথমে মাথার কাছে রাখা ছোট হ্যান্ডব্যাগ টা তন্ন তন্ন করে খুঁজে মানিব্যাগ বা মোবাইল কোনটাই না পেয়ে অত্যন্ত হতাশ ভাবে ছোট সুটকেস টা খুললেন। তার পর সুটকেসে র মধ্যে হাত চালিয়ে ই উদ্ভাসিত মুখে বের করে আনলেন মানিব্যাগ ও মোবাইল।

কয়েক মুহূর্ত নির্বাক বিস্ময়ে ডঃ সেনের দিকে তাকিয়ে থেকে সন্দিগ্ধ স্বরে বললেন -

"ব্যাপারটা কি বলুন তো মশাই। আপনি কি জ্যোতিষী না সাইকিয়াট্রিস্ট? আমার চিন্তা ভাবনা আপনি নির্ভুল ভাবে জেনে যাচ্ছেন কি ভাবে? এতো অলৌকিক ব্যাপার মনে হচ্ছে, আপনি তো অবাক করলেন আমায়।"


ডঃ সেন নিরুত্তর, বাইরে র দিকে তাকিয়ে আছেন।

এবার অধ্যাপকের গলায় অনুনয়ের সুর -

"ও মশাই বলুন না। আমার মনের চিন্তা গুলো আপনি কি ভাবে জেনে যাচ্ছেন? এসব ই কি কাকতালীয়? কিন্তু বার বার কিভাবে তা হয়?"


এবার শান্ত গভীর দৃষ্টিতে অধ্যাপকের দিকে তাকিয়ে অতি ধীরে কতকটা আত্মস্থ ভঙ্গিতে তিনি বলে চললেন-

"আপনার স্মার্টফোনে এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীর খবর আপনি পেতে পারেন। আপনি একটা কম্পিউটারে সেকেন্ডের মধ্যে জটিল অঙ্কের সমাধান করতে পারেন। আপনি জানেন হাজার হাজার কিলো ওজন নিয়ে বিমান কেমন সহজে এভারেস্টের উচ্চতায় হাজার হাজার পথ পার হয়। দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কেমন নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানে।বা লক্ষ লক্ষ মাইল গ্রহ- উপগ্রহে মহাকাশ যান পাঠানো সম্ভব। এসব ই এখন সাধারণ মানুষ ও জানে। কিন্তু একবার ভাবুন তো মাত্র কিছু বছর আগে ও এই ধরণের কোন সম্ভাবনার কথাও কতটা অসম্ভব, অলীক কল্পনা মাত্র মনে হতো।এসব কীভাবে সম্ভব হয় আজ ও অল্প সংখ্যক মানুষের ই সে সম্বন্ধে জ্ঞান আছে। সাধারণ মানুষের এসব সম্বন্ধে প্রায় কোন ধারণাই নেই, কিন্তু এসবে তারা বিস্মিত ও খুব একটা হয় না।কারণ তারা জানে, তারা নিজেরা না বুঝলেও বিশেষজ্ঞ যা নিশ্চয়ই বোঝে এসবের কলাকৌশল।তাই তাদের কাছে ও এসবে কোন অলৌকিকত্ব নেই,সব‌ই পরম স্বাভাবিক। আসলে যখন কারণ বা কর্মকৌশল সকলের ই অজানা থাকে, তখন অনেক স্বাভাবিক ঘটনা ও অসম্ভব, অলৌকিক সমগোত্রীয় হয়ে যায়। এটা ই স্বাভাবিক এবং বিজ্ঞানের ইতিহাসে এরকম বার বার হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কার্যকারণ শৃঙ্খলে বাঁধা অর্থাৎ বিনা কারণে কোন ঘটনাই ঘটে না। কারণটা অজানা, অনাবিষ্কৃত থাকলেই একমাত্র তা "অলৌকিক" তকমা পায়। আশ্চর্য হচ্ছেন? ভাবছেন এসব আবোল তাবোল কথার সঙ্গে আপনার মনের কথা আমার জেনে যাওয়ার সম্বন্ধটা কি? লাই ডিটেক্টর আর ইলেকট্রো এনকেফালোগ্রামের কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন কিন্তু এগুলোর ভিত্তি কি তা কি জানেন?"


- "না জানি না কারণ ওটা আমার বিষয় নয়"।


- "তাহলে শুনুন। মানুষের মস্তিষ্ক থেকে পাঁচ রকমের তরঙ্গ বের হয়।আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা ও থিটা। মাথায় ইলেকট্রোড বসিয়ে অতি সহজেই এই তরঙ্গ গুলোর গ্রাফ পাওয়া যায়। ঠিক যেভাবে হার্টের তরঙ্গের গ্রাফ ইসিজি তে পাওয়া যায়।মানুষের আবেগ অনুভূতি চিন্তা ভাবনা অনুযায়ী মস্তিষ্কের ইইজি গ্রাফে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। অর্থাৎ চিন্তা ভাবনার একরকম ফিংগার প্রিন্ট বলতে পারেন এই গ্রাহকের। এই গ্রাফ থেকে যেমন চিন্তা ভাবনা, অনুভূতির খবর জানা সম্ভব, ঠিক তেমনি তরঙ্গ গ্রাফ না নিয়ে কোন যন্ত্র ব্যবহার না করে সোজাসুজি তরঙ্গ গুলোকেই decode বা translate করতে পারলে চিন্তা ভাবনার খবর জানা সম্ভব।এই দ্বিতীয় পদ্ধতিটা সম্পূর্ণ একটা মানসিক প্রক্রিয়া এবং এইটা নিয়েই আমি গত দুই দশক ধরে গবেষণা করছি এবং কিছু ফল ও অবশ্যই পেয়েছি।


রেডিও স্টেশন বা টিভি স্টেশন যে শব্দ ও দৃশ্যকে তরঙ্গ রূপে পাঠায় তাকে রেডিও বা টিভি সেট আবার শব্দ বা দৃশ্য "অনুবাদ" করে দেয় এটা আমরা সবাই জানি। একইভাবে মানুষের মস্তিষ্ক থেকে বার হওয়া তরঙ্গ গুলো কে চিন্তা ভাবনায় "অনুবাদ" করার উপায়টা আমি জানি এবং কদাচিৎ প্রয়োগ ও করি যেমন আজ একটু আগে করেছি।"


"কি আশ্চর্য আজ অবিশ্বাস্য প্রায় কথা আপনি বলছেন। তার মানে থট- রিডিং এর বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তার প্রয়োগ দুটোই আপনি ভালো মত আয়ত্ত করেছেন বলতে হয়।"


ডঃ সেন স্মিত মুখে নিরুত্তর থাকেন।


- আমার তো ভীষণ কৌতূহল হচ্ছে।আমায় কি একটু আধটু শেখানো যায় না? প্লীজ, একটু অন্তত শেখান না।


- এটা তো চটজলদি দুচার কথায় শিখিয়ে দেওয়ার মত সহজ বা হাল্কা জিনিস নয় প্রফেসর রায়।তবে আপনার কৌতূহল টা যখন অতিরিক্ত তখন শুধু প্রয়োগ পদ্ধতির দু একটা টিপস্ দিচ্ছি। চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আমার দীর্ঘ সময়ের পরিশ্রমে আবিষ্কার করা পদ্ধতির একটা ক্ষুদ্র অংশ এত সহজে পাওয়া টা আপনার সৌভাগ্য জানবেন।"


- "সে তো নিশ্চয়ই স্যার।" বিনীত ছাত্রের মত হাবভাব এখন প্রফেসর রায়ের, সেই আত্মম্ভরিতা কোথায় উধাও।


- "মনে রাখবেন প্রধান কথাটা হল, প্রয়োগের ক্ষেত্রে একাগ্রতার গুরুত্ব অসীম।মন একাগ্র করার ক্ষমতা যার যত বেশি, তার সাফল্যের সম্ভাবনা তত বেশি।এরপর আরও মিনিট পনেরো ধরে নিম্নস্বরে কিছু কথা বলে ডঃ সেন সেই যে চুপ করলেন, তারপর আর কোন কথার ই কোন উত্তর পাওয়া গেল না তাঁর কাছ থেকে।


অনেক ক্ষণ চোখ বুজে শুয়ে ডঃ সেনের শেষ বলা কথাগুলো নিয়ে গভীর চিন্তায় ডুবে ছিলেন প্রফেসর রায়। এর মধ্যে কখন যে ডঃ সেন নিঃশব্দে নেমে গেছেন তা টের ই পাননি। চমক ভাঙল ডঃ সেনের খালি বার্থটায় নতুন যাত্রীর আগমনে। নিজের মালপত্র সশব্দে সীটের নীচে চালান করে দিয়ে জানালার ধারে বসে খবরের কাগজে মন দিলেন মোটাসোটা আগন্তুক টি। সহযাত্রী র সঙ্গে বাক্যালাপের কোন ইচ্ছা তার আছে বলে মনে হোল না।

প্রফেসরের মাথায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকে র মত একটা আইডিয়া খেলে গেল। এখন ও তো গন্তব্যে পৌঁছাতে অন্তত পাঁচ ছয় ঘণ্টা দেরি। হাতে কোন কাজ নেই আর ট্রেনের মধ্যে মন বিক্ষিপ্ত করার কোন আয়োজন ও নেই। এই অবস্থায় এই ভদ্রলোকের উপর সদ্য সদ্য শেখানো পদ্ধতি টা মনে থাকতে থাকতে ই এক্ষুনি প্রয়োগ করে দেখলে মন্দ কি। যদিও এত তাড়াতাড়ি সাফল্য আশা করা যায় না তবুও অভ্যাস শুরু করতে ক্ষতি কি বিশেষতঃ যখন আর কিছু তেমন করার ও নেই। খবরের কাগজ পাঠরত ভদ্রলোক টিকে নিবিষ্ট চিত্তে লক্ষ্য করতে লাগলেন অধ্যাপক। কাগজে নজর থাকলেও তার লক্ষ্য করার ব্যাপারটা চোখ এড়ায় নি ভদ্রলোকের। স্বাভাবিক সৌজন্য বশত অবশ্য এ নিয়ে কোন প্রশ্ন ও করেন নি।


একটা কোন ব্যক্তি বা বস্তুর উপর মনকে একাগ্র করাটা যে এত কঠিন কাজ তা ধারণাই ছিল না অধ্যাপকের। পদার্থ বিদ্যার দুরূহ তত্ত্ব বোঝার জন্য মেধাবী অধ্যাপক কে ছাত্রজীবনে এবং অধ্যাপনায় প্রয়োজনে অহরহ একাগ্র হতে হয়েছে কোন ধারণা বা ভাবের বিষয়ে। কিন্তু এই একাগ্রতার ধরণটা একেবারেই আলাদা। একটা মানুষের উপর মনঃসংযোগ........না ভাবা যায় না।

দুঘণ্টার ওপর চোখ খুলে এবং চোখ বুজে ও চেষ্টা চালানোর পর হঠাৎ তার মনে একটা অস্পষ্ট ছবি বারবার ভেসে উঠতে লাগল -একটা সাজানো গোছানো কাঁচের দরজা ওয়ালা দোকান। দোকানে ওগুলো কি সাজানো? কেক পেস্ট্রি বলে মনে হচ্ছে যেন।আর কাউন্টারের পেছনের ঐ মোটাসোটা লোকটা র অবয়বটা যেন উল্টো দিকের বার্থের............।


সামনের বার্থের ভদ্রলোকটিকে কিছু জিজ্ঞাসা করার প্রবল ইচ্ছা অতিকষ্টে দমন করে আরো বেশ কিছু ক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পর এই তীব্র অদ্ভুত মানসিক পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে প্রফেসর তখনকার মত এই বিচিত্র খেলা বন্ধ করে চাওয়ালাকে ডেকে একটা চা নিলেন। উল্টো দিকের বার্থের ভদ্রলোকটিও একটা চা নিলেন। তার পর ছোট ব্যাগ টা থেকে দুটো কেকের স্লাইস হাসি মুখে তার দিকে একটা এগিয়ে দিলেন।

প্রফেসরের ইতস্ততঃ ভাব দেখে ভদ্রলোক দরাজ হেসে বললেন,

-"আরে মশাই দেখুন না আমার নিজের বেকারির কেক। খেয়ে বলুন দেখি কেমন লাগল?"


লটারি তে ফার্স্ট প্রাইজ পেলেও বোধহয় এত আশ্চর্য এবং আনন্দিত হতেন না অধ্যাপক পার্থ রায়।চায়ে চুমুক দিতে ও ভুলে গেছেন, কেকের স্লাইস টা হাতেই রয়েছে গেছে। পাথরের মূর্তির মত বসে প্রফেসর।

- কি ব্যাপার? আপনি হঠাৎ যেন মশাই একেবারে ধ্যানস্থ হয়ে গেলেন।"


ভদ্রলোক আরও কিসব যেন বলে যাচ্ছেন। কিন্তু কোন কথা ই আর প্রফেসরের মাথায় ঢুকছে না। মনের মধ্যে এতকাল ধরে সযত্নে লালিত পদার্থ বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব আর সর্বজ্ঞাতার ধারণা টা জোর ধাক্কা খেয়ে ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞান আর অলৌকিকের সীমারেখা ও দ্রুত অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।


Comments


নীড়বাসনা  বৈশাখ ১৪২৯
bottom of page