দুইটি কবিতা
- দেবাশিস ভট্টাচার্য
- Nov 7, 2017
- 1 min read
Updated: Feb 18, 2021

পরাবাস্তবের কলোনিতে
পরাবাস্তবের এই কলোনিতে নূতন এসেছি
এখনো অভ্যাস নেই বলে ঠিক স্বাচ্ছন্দ্য আসে নি
কে এনেছে সে কথায় যাব না এখুনি
তার চেয়ে ভাল একে আরেকটু সময়, ধৈর্য দেয়া
প্রকৃতির নিয়মের কিছুই সংযোগছিন্ন নয়
এক থেকে আরেকটি অনিবার্য নিয়মেই আসে
সুদীর্ঘ বাস্তব থেকে স্বাভাবিক পরিবর্তনের
জন্য কিছু প্রতীক্ষার সময়ের প্রয়োজন আছে
এখানেও ঘুড়ি ওড়ে, পাখি গায়, গাছে ফুল ফোটে
গোধূলিতে জ্বলে ওঠে ঘরে ঘরে মাটির প্রদীপ
খুব দু চারিটি লোক কদাচিৎ এখানে ওখানে
রোদ বৃষ্টি ঝড়গুলি আরও স্নিগ্ধ আরও স্পর্শময়
আমি একটা পুরাতন খুব ছোট কুটির পেয়েছি
পিছনে পুকুর আছে সমুখে কুয়াশা ঘেরা নদী
দরজা জানলা হাট, শুনি সারাদিন মর্মরিত পাতা
এ কলোনি ছেড়ে আর চলে যেতে বোলো না আমায়
নাকি এখানেও আছে বিদায়ের ব্যথা, অশ্রুজল ?
বালুতে গভীর গর্ত, শামুকের, কাছিমের বাসা ?
চৌকাঠে নির্লিপ্ত ঘাস, চা খেতে ধূসর ইষ্টিশনে
প্ল্যাটফর্ম কিনারে একা বেঞ্চির উপরে বসে লিখি ।
লেখার আলোয় সব স্মৃতিগুলি পাণ্ডুলিপিগুলি
মনোময় হয়ে ওঠে, শিশু নিয়ে নারীরা এসেছে
তোমায় দেখার জন্যে, তুমি কি পাসপোর্ট পেয়ে গেছ ?
পরাবাস্তবের এই কলোনিতে নতুন এসেছি ।
কলোনির শেষ প্রান্তে কোনোদিন বেড়াতে গিয়েছ ?
আমি মাঝে মধ্যে যেতে ভালবাসি, কেননা ওখানে
মোহনার কাছে এক বাতিঘর, লোনা হাওয়া বয়,
গাঙচিল ওড়ে, চিংড়ি চাষিদের জালগুলি শুকোতে দিয়েছে
বাতিঘর আমাদের ডাক দেয় মোহনায় যেতে
গোধূলিতে খাঁড়িগুলি অলৌকিক আঙ্গুলের মত
অপার্থিবে মিশে যায়, দিকচিহ্নহীন ।
পাদমূলে ঠাই দাও
তোমার অনন্ত ভ্রূণ জন্মদাগ জড়ুলের মত
জুড়াবার পদচ্ছায়া দিলে কি নক্ষত্র অন্ধকারে
তোমার কোটরে আমি রেখে গেছি বেদনা বাস্তব
একটি জীবন আমি রেখেছি কারণ
অনন্ত জীবন আছে শুধু একটি জীবন আঁধারে
অনন্ত ভ্রূণের জন্ম জন্মান্তর আছে
জুড়াবার পাদমূল পাব কি তোমার কাছে প্রিয়?
Comentários