- সুস্মিতা
এক মুঠো গল্প
সুখে দুখে নয় ,সংখ্যায়
সকাল থেকে facebook আর whatsapp এ 'গেট ওয়েল সুন 'মেসেজের গুঁতোয় রজতাভর সেলফোন টা একটু ও বিশ্রাম পায়নি ...
শহরের এক নামী দামী হাসপাতালে আজ ওর একটা অপারেশন চলছে ...
ও.টি.র বাইরে দাড়িয়ে আছেন রজতাভর বিধবা মা ,একলা ।একটু দূরে দাড়িয়ে পাড়ার এক শুভাকাঙ্ক্ষী ..তিনি এসেছেন রজতের মায়ের অনুরোধে .....
দাম্পত্য
বাবা ,মনে রেখো তোমার নিজেরও কিন্তু আশি বছর বয়স হতে চললো ....সকাল থেকে ঠায় তিন ঘণ্টা দাড়িয়ে আছো ....ডাক্তার তো বলেই দিয়েছেন-এটা সুপার ক্রিটিকাল অপারেশন,আর ও ঘণ্টা চার সময় লাগবে,তুমি কি ততক্ষণ এইভাবে দাড়িয়ে থাকবে না কি ?
জানিস খুকি,ছেলেবেলায় ক্রিকেট ম্যাচের সময় প্রিয় ব্যাটসম্যানের উইকেট বাঁচানোর জন্য টেলিভিশনের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকতাম ....
আজ তোর মায়ের উইকেটটাকে ...
সম্প্রীতি
জানালার কাছে দাড়িয়ে দুশ্চিন্তায় ছটফট করছে জুবেদা ।আট বছরের ছেলে ইমরান টা আজই এমনভাবে সাইকেল থেকে পরে গেলো ...পাশের ফ্লাটের ডেভিড আঙ্কল ইমরানকে হসপিটালে নিয়ে গিয়েছে ।জুবেদার আজ যাওয়ার কোনো উপায়ই ছিলো না । চারতলার ফ্লাটের প্রিয় বান্ধবী দেবলীনার বাবার গতকাল রাতে হার্টঅ্যাটাক হয়েছে ।ও চলে গিয়েছে সেখানে ওর ছেলে দেবমাল্যর আজ স্কুলে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা ।ওর ফেরার সময় হয়ে এসেছে । দেবমাল্যর স্কুলবাসের ড্রাইভার শার্দূল সিং কড়া ধাঁচের লোক ।মা দেবলীনা অথবা পাড়ার জুবেদা খালার কাছে ছাড়া সে বাচ্চা ছাড়বেই না ....
অচেনা
মাথার বাঁ দিকের চুলগুলো সবুজ মনে হচ্ছে না? তা হতেই পারে,আজকালকার ছেলেমেয়েদের ওসব শখ শৌখিনতা তো একটু থাকবেই .... পাশে ও টি কে?? রণিত লিখেছে-''তোমাদের বৌমা"....কিন্ত তাকেও যেন আরেকজন পুরুষ বলেই মনে হচ্ছে ....কে জানে ...ছবিতে সঠিক বোঝা যাচ্ছে না ....
কিন্ত রণিতের দৃষ্টি টা ?রণিত মানুষ টা ? ক্লাস টেন এর কিশোর রণিতের পুরনো ছবির পাশে ....বর্তমান রণিতের ছবিটি রেখে মা শ্রীময়ী নির্নিমেষ চেয়ে রইলেন ....
কিছুতেই মেলাতে পারছেন না ........