top of page
  • প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়

মেরা ভারত মহান


ক্রমে ক্রমে সত্তর বছর হয়েছি মোরা স্বাধীন তবু যেন জনে জনে হয়ে আছি দীন ক্ষুদিরাম ভগৎ সিং মাষ্টারদা সূর্য সেন বিনয়-বাদল-দীনেশ ছিলেন বাঘা যতীন "মুক্তির মন্দির সোপান তলে কত প্রাণ হল বলিদান" শত বঞ্চনা কষ্ট ব্যথা সয়ে বলি মেরা ভারত মহান। মনেতে প্রশ্ন জাগে কতটুকু মোরা স্বাধীন! গলির মোড়েতে বসে রোজ রামহরি মুচি দীন আধপেটা জোটে রোজ ওর মনে থাকলেও সাধ অর্থহীনতা নিত্য ওর সাধে বাধে বাধ চরণজোড়া কম জড়ো হলে ছাতু জলই জোটে স্বাধীনতা দেয় না তারে একথালা ভাত পেটে। ফুটপাথে চেয়ে দেখি ফুটপাথবাসী সব দীন হায়! ওরাও নাকি স্বাধীন দেশের নাগরিক স্বাধীন! তবু ওরা হা-ঘর পেটে জোটেনাকো ভাত উড়ালপুল মাথায় আকাশ ঢাকে বেওয়ারিশ ছাদ। হাওয়ায় পত পত করে ওড়ে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত নিশান মাইক্রোফোনে বেজে ওঠে স্বাধীনতা দিবসের গান গালভরা বক্তব্য রাখে কত ছোট-বড় সব নেতা দেশের প্রতি তাদের দেখি কতশত আদিখ্যেতা স্বাধীন দেশে চলতে পথে নারীর স্বাধীনতা নাই প্রতি মুহূর্তেই তারা করে শ্লীলতাহানির ভয়। আবেদন-নিবেদন শেষে এল স্বাধীনতা সুভাষ বোসের নিরুদ্দেশ নিয়ে কত গোপনতা তালেবর দেশ নেতারা ইতিহাসকে বিকৃত করে নেতাজী আছেন কী নেই, নিয়ে শুধু কমিশনই গড়ে ১৫ই আগস্ট প্রতি বছর পালন করি স্বাধীনতা দিবস তবু মনে মনে হয়ে থাকি মোরা কেন বিবশ। সকাল থেকে সাজো সাজো রব ক্লাবে ক্লাবে দেশ খণ্ড করা ভিক্ষালব্ধ স্বাধীনতার উৎসবেতে মাতে সকালবেলা প্রভাত ফেরি জাতীয় পতাকা উত্তোলন রাতেরবেলা বনভোজন আর মদের ফোয়ারার আয়োজন তারস্বরে মাইক্রোফোনে বাজে চটুল হিন্দি গান মনে মনে বুঝি আমি মেরা ভারত মহান॥

নীড়বাসনা  বৈশাখ ১৪২৯
bottom of page